কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা স্বাধীনতার ৫২বছর পরেও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, প্রকৃতপক্ষে তাদের মানসিকতা এখনো পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি! গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দুরভিসন্ধিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–ুয়া বিবৃতিতে সই করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কখনো এদেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না। ৫২ বছর পরে যারা দেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, প্রকৃতপক্ষে তাদের মানসিকতা এখনো পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি! ক্ষমতায় এসে তারা জনগণ ও দেশের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্নভাবে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। এক সময়ের ক্ষুধা-দারিদ্র্য মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। অভূতপূর্ব সাফল্যে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে এখন কেউ আর না খেয়ে দিনাতিপাত করে না। অথচ বিএনপির সময় দেশের অবস্থা কী ছিল? মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন? তাদের শাসনামলে উত্তরবঙ্গে মঙ্গাপীড়িত মানুষ না খেতে পেয়ে কীভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে! বঙ্গবন্ধুকন্যার বহুমাত্রিক পদক্ষেপে দুর্বিষহ ক্ষুধার সেই অভিশপ্ত অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। মির্জা ফখরুলরা তাদের সময়ের দুঃসহ ইতিহাস আড়াল করার জন্যই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
কাদের বলেন, করোনার অভিঘাত আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি গভীর সংকটে। যার প্রকোপে সারাবিশ্বে আশঙ্কাজনক হারে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বাংলাদেশের জনগণও কিছুটা কষ্টে আছে। মানুষের এই কষ্ট লাঘবে সরকার বিভিন্ন জনবান্ধব ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
কাদের বলেন, বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সরকার যখন প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, তখনই সঙ্কটকে পুঁজি করে কতিপয় চিহ্নিত মহল সরকারের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। একটি পত্রিকার সুরে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুলও শিশু শোষণের মতো ঘৃণ্য কাজকে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা আওয়ামী লীগের প্রতি অন্ধবিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।
কাদের বলেন, জাতির সব সংকট ও দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থেকেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংকট মোকাবিলা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার যে কোনো পরিস্থিতিতে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। একথা প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশে মানুষের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে।