১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : হোমল্যান্ড লাইফের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আগের সংবাদ

মনোনয়নে আ.লীগের গুরুত্ব তৃণমূল : চ্যালেঞ্জে শতাধিক এমপি, চাপের মুখে সাংগঠনিক সম্পাদকরা, জেলার পর উপজেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

পরের সংবাদ

আহসানগঞ্জ রেলস্টেশন এখন মাছের বাজার

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আব্দুল মজিদ মল্লিক, আত্রাই (নওগাঁ) থেকে : আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এখন মাছবাজারে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্টেশনের প্রবেশ পথের প্লাটফর্মে মাছ বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এখন অনেকে আহ্সানগঞ্জ রেলস্টেশনকে মাছবাজার স্টেশন নামেই চেনেন। এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, ১৯২৭ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয় আহ্সানগঞ্জ রেলস্টেশন। ব্রিটিশ শাসনকালে এই স্টেশনটি ‘আত্রাই ঘাট’ নামে নামকরণ করা হয়েছিল। পরে তা পরিবর্তন করে স্টেশনের প্রতিষ্ঠাতা জমিদার মুন্সী আহ্সান উল্লাহ্ মোল্লার নামে আহ্সানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন নামকরণ করা হয়। বর্তমান এই রেলস্টেশন হয়ে ৩২টি ট্রেন চলাচল করে, এর মধ্যে ৮টি ট্রেনের স্টপেজ রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে আহ্সানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আয় হয়েছে ২ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৬ টাকা। এই স্টেশনে বিপুল পরিমাণ আয় হওয়া সত্বেও প্লাটফর্মে অপেক্ষমাণ যাত্রীর বসার পর্যাপ্ত আসন নেই। আসন যা রয়েছে সেগুলো ফল, পান-সিগারেটের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান দিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই রেল স্টেশনে কেউ কেউ আবার প্লাটফর্মের ওপর মোটরসাইকেল রেখে ঘোরাফেরা করেন। প্লাটফর্মের যাত্রী ছাউনির টিন দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট হয়ে রয়েছে। যার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। স্টেশনে বিদ্যুৎ থাকলেও প্লাটফর্মের বেশির ভাগ জায়গায় নেই লাইট। বিদ্যুৎ চলে গেলে প্লাটফর্মে যাত্রীদের থাকতে হয় অন্ধকারে, নেই সোলার লাইটিংয়ের ব্যবস্থাও।
উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের জালাল মিয়া বলেন, আহ্সানগঞ্জ রেলস্টেশনে বেশির ভাগ জায়গা প্রভাবশালীর দখলে। যার কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, স্টেশন মাস্টারও তাদের কিছু বলতে পারেন না। ট্রেনের যাত্রী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি নাটোর আমি। আমি আত্রাইয়ে চাকরি করি। তাই ট্রেনে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি। দীর্ঘদিন ধরে দেখছি, এই স্টেশন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমার মতো অপেক্ষায় থাকা ট্রেনের যাত্রীরা স্টেশনে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবে তার কোনো ভালো ব্যবস্থা নেই। আবার স্টেশনে মাছ বিক্রি করায় অনেক দুর্গন্ধ ছড়ায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আরো কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, কিছু ব্যক্তি রেলস্টেশনের প্রবেশপথ বন্ধ করে জায়গা দখল করে দোকান তৈরি করেছে। আবার প্লাটফর্মের ওপর বেশির ভাগ সময় মাছ বিক্রি করে। যার কারণে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠানামা করতে অনেক কষ্ট হয়। এ বিষয়ে আহ্সানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী গ্রেড-১ (ইনচার্জ) সুব্রত কুমার দাস বলেন, আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অনেকবার জানিয়েছি। মাছ বিক্রেতাদের বহুবার মাছ বিক্রি করতে মানা করেছি। তারা আমার কথা শোনে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়