বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের : গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিএনপির কারণেই বারবার হোঁচট খায়

আগের সংবাদ

আত্রাই উপজেলা মিলনায়তনের পাশে জলাবদ্ধতা

পরের সংবাদ

প্রিন্টারের টোনার সরবারহকারী হয়ে ওঠেন ভয়ংকর প্রতারক

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রিন্টারের টোনার সরবারহের ব্যবসা করতেন কোরবান আলী সিকদার। টোনার সরবারহের পরে বিল ভাউচার বানিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে পেমেন্ট নিতেন তিনি। এভাবে বিল নেয়ার সময়ই প্রতারণার বিষয়টি মাথায় আসে কোরবান আলীর। ভুয়া বিল ভাউচার পাঠিয়ে নিতে থাকেন পেমেন্ট। এরই মধ্যে বড় পরিসরে প্রতারণা করার আইডিয়া আসে তার মাথায়। এজন্য টার্গেট করেন বিভিন্ন ব্যাংক। ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জোগাড় করে টার্গেটকৃত ব্যাংকের অফিসিয়াল ই-মেইলে পাঠাতেন নকল বিল ভাউচার। পরে নিজেই ওই ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেজে ফোন করে বিলটি পরিশোধ করার নির্দেশ দিতেন। এভাবে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাকে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শ্যামপুর থানার একটি মামলার সূত্র ধরে কোরবান আলীকে গত সোমবার কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ (দক্ষিণ)। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ডিবির সাইবার ও স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. সাইফুর রহমান আজাদ ভোরের কাগজকে বলেন, কোরবান আলী সিকদার ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন শাখার ই-মেইল আইডি, টেলিফোন ও মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করতেন। পরে স্মার্ট সলিউশন নামক প্রতিষ্ঠানের প্যাড ব্যবহার করে তাতে বিভিন্ন ব্যাংকের বাৎসরিক সিসি ক্যামেরা সার্ভিসিং এবং প্রিন্টারের টোনার সরবরাহ বাবদ নকল বিল-ভাউচার তৈরি করে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার অফিসিয়াল ই-মেইলে পাঠাতেন। এরপর আসামি নিজেই ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে বিভিন্ন আইপি ফোনের নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ই-মেইলে বাৎসরিক সিসি ক্যামেরা সার্ভিসিং ও প্রিন্টারের টোনার সরবরাহের বিল-ভাউচার পাঠানোর কথা বলতেন এবং বিলটি দ্রুত পরিশোধের জন্য অনুরোধ করতেন। ব্যাংকের ম্যানেজারের বিশ্বাস স্থাপনের জন্য ব্যাংক ম্যানেজারের ল্যান্ড ফোনে আসামি বিভিন্ন নম্বর থেকে কল করতেন। ব্যাংকের হেড অফিসের এজিএম পরিচয় দিয়ে নগদ/বিকাশ/রকেটে (ভাউচারে বর্ণিত পেমেন্ট নম্বরে) বিলটি দ্রুত পরিশোধের জন্য নির্দেশ দিতেন। ব্যাংকের ম্যানেজারের অধিকতর বিশ্বাস স্থাপনের জন্য পুনরায় আসামি এজিএমের পরিচয় দিয়ে ল্যান্ড ফোনে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল করে বিলটি ব্যাংকের কোন খাত থেকে কীভাবে পরিশোধ করতে হবে সে বিষয়ে বিশদ বর্ণনা করে নিট পেমেন্ট দ্রুত পরিশোধের জন্য বলতেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়