বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের : গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিএনপির কারণেই বারবার হোঁচট খায়

আগের সংবাদ

আত্রাই উপজেলা মিলনায়তনের পাশে জলাবদ্ধতা

পরের সংবাদ

কষ্টার্জিত জয়ে গ্রুপ শীর্ষে এমবাপ্পের ফ্রান্স

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : গত ২৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে ম্যাচ দিয়ে গতকাল ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব শুরু করে আয়ারল্যান্ড। ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ার লক্ষ্য ছিল তাদের। তবে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় তাদের স্বপ্ন যে পূরণ হবে না তা বোঝা গিয়েছিল আগেই। কাতার বিশ্বকাপের রানার্স আপ দল আইরিশদের বিপক্ষে প্রথমে তেমন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে না পারলেও শেষ দিকে নিজেদের দাপট তারা ঠিকই দেখায়।
শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের দল। এদিকে রটারডামে গ্রুপ-বি এর খেলায় জিব্রাল্টারের বিপক্ষে মাঠে নামে নেদারল্যান্ডস। ম্যাচটিতে ডাচরা ৩-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ২ ম্যাচ খেলা ফ্রান্স দুই ম্যাচেই জয় তুলে পূর্র্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-বি এর শীর্ষে অবস্থান করছে। দুইয়ে অবস্থান করছে এক ম্যাচ খেলে ৩ পয়েন্ট তুলে নেয়া গ্রিস। দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেয়ে তিনে অবস্থান করছে নেদারল্যান্ডস।
ডাবলিনের আভিভা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে খেলতে নেমে ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে কোনো দলই নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে পারেনি। দুই দলই আক্রমণাত্মক খেলা দেখায়। হানা দেয়ার চেষ্টা করে একে অপরের রক্ষণভাগে। তবে কোনো দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়ই পোস্টে শট রাখতে পারেননি। ফরাসি রক্ষণভাগে ছিলেন থিও হার্নান্দেজ, ইব্রাহিমা কোনাতে ও পাভারদের মতো ফুটবলার। রক্ষণভাগে এমন খেলোয়াড় থাকলে আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়দের খেই হারানোটাই স্বাভাবিক। তবে কিলিয়ান এমবাপ্পে, কোলো মুয়ানি ও অলিভার জিরুদের মতো খেলোয়াড়রা আয়ারল্যান্ডের রক্ষণভাগে গিয়ে খেই হারিয়ে পোস্টের বাইরে শট নেয়াটা দৃষ্টিকটু। আইরিশ ফুটবলাররা নিজেদের মাঠে ফরাসি খেলোয়াড়দের কাছে খুব একটা পাত্তা না পেলেও শৃঙ্খলাবদ্ধ খেলা দেখান দর্শকদের। রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা জাল রক্ষার লক্ষ্য নিয়ে জমাট বেঁধে ছিলেন নির্দিষ্ট স্থানে। আর বাকি মাঠ সামাল দিচ্ছিলেন আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা। এমন আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণ বা রক্ষণাত্মক-আক্রমণাত্মক খেলার মধ্য দিয়ে গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।
বিরতির পর ফের আইরিশদের শৃঙ্খলাবদ্ধ খেলা দেখা যায়। আর দেখা যায় দিদিয়ের দেশমের শিষ্যদের ছন্দহীন খেলা। তবে এর মধ্যেই নিজেদের ভুলের কারণে একটি গোল হজম করে আইরিশরা।
বক্সের মধ্যে জেসন নাইটকে দুর্বল পাস দেন আইরিশ মিডফিল্ডার জশ কুলেন। এমন সুযোগের জন্যই অপেক্ষায় ছিলেন পাভার। সুযোগ পেয়ে তিনি নাইটের সামনে থেকে বল নিয়েই ডান পায়ে জোরালো শট নেন। তার শট লাফিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেও আটকাতে পারেননি আইরিশ গোলরক্ষক গ্যাভিন বাজুনুর। ম্যাচের ৫০ মিনিটে ১-০ গোলের লিড পায় কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে লিওনেল মেসিদের কাছে পরাজিত হওয়া ফ্রান্স। পরের ২০ মিনিটের মধ্যে ফ্রান্সের হয়ে একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন আদ্রিয়ান রাবিওত। ২৫ গজ দূর থেকে তার নেয়া শট রুখে দেন বাজুনু। কিন্তু ৮০ মিনিটের পর গর্জে ওঠা স্বাগতিক দর্শকদের সামনে ফ্রান্সকে চেপে ধরে আয়ারল্যান্ড। প্রতি আক্রমণে টানা কয়েক মিনিট তটস্থ থাকে ফ্রান্সের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা।

স্ট্রাইকার চিয়েদোজি ওগবেনেম, জেসন মোলুম্বিরা ফ্রান্সের বক্সের আশপাশ থেকে দূরপাল্লার কয়েকটি শট নেন। পাভার ও রাবিওতকে তুলে অঁরেলিয়ে চুয়ামেনি ও জুলস কুন্দেকে ৮১ মিনিটে নামান ফ্রান্সের কোচ দেশম।
রক্ষণেই ব্যস্ত সময় কাটান চুয়ামেনি। ৮৩ মিনিটের পর টানা কয়েকটি কর্নারে ফ্রান্সের ওপর চাপ বিস্তারের ফলটা ৯০ মিনিটে পেয়ে যেতে পারত আয়ারল্যান্ড। কর্নার থেকেই কলিন্সের হেড ফ্রান্সের পোস্টে ঢুকে যেত যদি গোলকিপার মাইক মেনিয়ঁ দেয়াল হয়ে না দাঁড়াতেন। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে অবিশ্বাস্য সেভ করেন। গোটা ম্যাচে ৩৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে শেষ দিকে ভালোই জ্বলে উঠেছিল স্বাগতিকরা। ভালো ফিনিশারের অভাবে তারা গোল পায়নি। পোস্টে রাখতে পেরেছে মাত্র ২টি শট। অন্যদিকে ফরাসি ফুটবলারদের ৪টি শট ছিল টার্গেটে।
অন্যদিকে রটারডামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে নেমে পাত্তাই পায়নি জিব্রাল্টার। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর শুরু থেকেই ডাচদের তোপের মুখে পড়ে দলটি। প্রথম থেকেই একের পর এক আক্রমণের দিকে এগিয়ে যায় ডাচ ফরোয়ার্ডরা। এর সুফল তারা পান মাত্র ২৩ মিনিটের সময়। জিব্রাল্টারের জালে প্রথম বল জড়ান ম্যাম্ফিস ডিপাই। প্রথমার্ধ তারা ১-০ গোলের লিড নিয়েই শেষ করে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ফের একের পর এক আক্রমণের শিকার হয় জিব্রাল্টার। ডাচদের আক্রমণ ঠেকাতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটির রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। একের পর এক আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ৫০ মিনিটে নাথান আঁকের পা থেকে আরেকটি গোল যোগ হয় নেদারল্যান্ডসের স্কোরবোর্ডে। জিব্রাল্টারের কফিনে শেষ পেরেকটাও ঠোকেন এই ডাচ ফুটবলার। ম্যাচের ৮২ মিনিটে আরেকটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
সভাপতি গিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানান ইতোমধ্যেই এই ক্যাল্ডোর ইসিএ কর্তৃক অনুমোদন পেয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়