বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের : গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিএনপির কারণেই বারবার হোঁচট খায়

আগের সংবাদ

আত্রাই উপজেলা মিলনায়তনের পাশে জলাবদ্ধতা

পরের সংবাদ

এবার পেলে-ম্যারাডোনার পাশে লিওনেল মেসি

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : লিওনেল মেসির হাত ধরে ৩৬ বছর পর নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। এরপর থেকেই বিভিন্নভাবে সম্মান জানানো হচ্ছে তাকে। কিছুদিন আগে মেসির নামে একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নামকরণ করে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন। এবার দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) তৈরি করে মেসির ভাস্কর্য। যা থাকবে কনমেবলের জাদুঘরে। এই ভাস্কর্য রাখা হবে পেলে ও ডিয়েগো ম্যারাডোনার ভাস্কর্যের পাশে। এছাড়া কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেস সেখানে লিওনেল মেসিকে বিশ্ব ফুটবলের শাসক ঘোষণা করেন।
প্যারাগুয়ের লুকে শহরে সোমবার কনমেবলের সদর দপ্তরে কোপা লিবের্তাদোরেসের ড্র অনুষ্ঠানে লিওনেল মেসির ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়। যেখানে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে মেসির প্রতিকৃতি। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকা ও ফিনালিসিমা ট্রফির রেপ্লিকা উপহার দেয়া হয় তার হতে। গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ জেতার আগেও আরো দুটি আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছিলেন মেসি। ২০২১ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জেতার পর ইতালিকে হারিয়ে লা ফিনালিসিমা। পরে মেসির হাতে ‘ফুটবলের ব্যাটন’ তুলে দিয়ে কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেজ বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা ও বিশ্ব ফুটবলের নামে আজ বিশ্ব ফুটবলের নেতৃত্ব ও শাসনভার তোমার হাতে তুলে দিলাম।’
এমন সম্মান পেয়ে উচ্ছ¡সিত মেসি। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখিনি বা ভাবতে পারিনি। আমার স্বপ্ন ছিল ফুটবল খেলা এবং স্রেফ উপভোগ করা। যখন ছোট ছিলাম তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল পেশাদার ফুটবলার হওয়া এবং সেটিকেই পেশা হিসেবে নেয়া। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, ফুটবল ক্যারিয়ারে সবই অর্জন করতে পেরেছি আমি। এত সুন্দর উপহার দেয়ার জন্য আমার সব সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাই। কনমেবলকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। খুবই বিশেষ আর দারুণ মুহূর্ত কাটাচ্ছি আমরা, অনেক অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। লাতিন আমেরিকান কোনো দেশের বিশ্বকাপ জেতার সময়ই ছিল এটা। অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে। সেই পথে অনেক মোড় এসেছে, পরাজয় এসেছে। তবে আমি সবসময় সামনে তাকিয়েছি এবং সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছি, বিজয় চেয়েছি। আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটিই, স্বপ্নকে তাড়া করা, সবকিছুকে সম্ভব করতে লড়াই করা এবং খেলা উপভোগ করা, যেটি সবচেয়ে সুন্দর।’
পেলে-ম্যারাডোনার পাশে কে? এমন প্রশ্নের উত্তর ছিল না কিছুদিন আগেও। তবে কাতার বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের পর সেই উত্তর পেয়ে যায় ফুটবল বিশ্ব। বিশ্বকাপ জয়ে অসাধারণ পারফর্ম করে ও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। এখন পেলে-ম্যারাডোনরা সঙ্গে তার নাম উচ্চারণ করা হয়। অনেকের কাছে তিনিই সবাইকে ছাড়িয়ে সর্বকালের সেরা। কনমেবলের এই উদ্যোগকেও বলা যায় মেসির অর্জনের স্বীকৃতি।
কিছুদিন আগে মেসির নামে একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নামকরণ করে আর্জেন্টাইন ফুটবল এসোসিয়েশন । এএফএ-এর নতুন ক্রীড়া কমপ্লেক্সের হাউজিং এবং এর সংশ্লিষ্ট সব স্থাপনা এখন থেকে মেসির নাম বহন করবে। এই ক্রীড়া কমপ্লেক্সে প্রায় ২০ বছর ধরে যাতায়াত আছে মেসির। এরই মধ্যে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের নামফলক উন্মোচন করেন মেসি। এরপর এফএফএ প্রেসিডেন্ট ক্লদিও তাপিয়া এবং বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনিকে নিয়ে ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
এর আগে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে উপহার দিয়ে অধরা স্বপ পূরণের পর করিম বেনজেমা ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে হারিয়ে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয় মেসি। গত বছর দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন এই তারকা। বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়। গত মাসের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ভাবে মনোনীত ১৪ জন ফুটবলারের মধ্য থেকে পুরুষ ফুটবল জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়ক, সাংবাদিক এবং ফিফার ওয়েবসাইটে দেয়া ফুটবলপ্রেমীদের ভোটে তিনজনের নাম ঘোষণা করেছিল ফিফা। এই তিন জনের মধ্য থেকে ৫২ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন মেসি। আর দ্বিতীয় হওয়া এমবাপ্পে পেয়েছেন ৪৪ ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা বেনজেমা পেয়েছেন ৩৪ ভোট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়