বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের : গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিএনপির কারণেই বারবার হোঁচট খায়

আগের সংবাদ

আত্রাই উপজেলা মিলনায়তনের পাশে জলাবদ্ধতা

পরের সংবাদ

এক বছরে আখচাষ কমেছে ৪২ শতাংশ

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : এক বছরে ৪২ শতাংশ জমিতে আখের আবাদ কমেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ড. সাঈদা খাতুন। গত সোমবার ঈশ্বরদীতে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অংশীজনের অংশগ্রহণে ইক্ষুজাতের প্রধান প্রধান ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে আধুনিক কলাকৌশল’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান।
বিএসআরআইয়ের আয়োজনে এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএসআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. ওমর আলী। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট ১০ মাইল এলাকার পুটিমারির বিলে ১০০ হেক্টর জমিতে বিএসআরআই কর্তৃক সাথী ফসল হিসেবে রসুনের সঙ্গে ৪১ জাতের আখের আবাদ হয়েছে। আখ চাষে লাভবান হতে কৃষককে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আধুনিক প্রযুক্তি প্রদান, আখ রোপণের পর সঠিক পরিচর্যা ও অনুমোদিত হারে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. আতাউর রহমান। তিনি বলেন, আখের ক্ষতিকর পোকা ৬৮টি। এর মধ্যে ১০টি মারাত্মক ক্ষতিকর। পোকা নিয়ন্ত্রণ করলে আখের ফলন বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন মেকানিক্যাল কন্ট্রোল, বাইলোজিক্যাল কন্ট্রোল, সবশেষে অনুমোদিত হারে রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করলে কৃষক লাভবান হবে।
বিএসআরআইয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ড. সাঈদা খাতুন ক্ষতি পোষাতে মিলগুলোতে চিনির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বহুমুখী উৎপাদন করে লাভজনক করতে ও কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ানোর কথা তুলে ধরেন। কর্মশালায় কৃষি অর্থনীতি বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম আখ চাষের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ১০-১৫ বছরের ব্যবধানে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আখের আবাদ কমেছে। ২১-২২ অর্থবছরে মিল জোন এলাকায় ২০ হাজার হেক্টর ও নন মিল জোন এলাকায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। অথচ ২০-২১ অর্থবছরে মিল জোন এলাকায় আখের আবাদ হয় ৫২ হাজার হেক্টর জমি ও নন মিল জোন এলাকায় ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রতি বছরই আখের আবাদ কমছে। কর্মশালায় বিএসআরআইয়ের পরিচালক (টিওটি) মোছা. ইছমাৎ আরার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিচালক (গবেষণা) ড. কুয়াশা মাহমুদ ও নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, সহসভাপতি মাহাবুবুল হক দুদু, বিএসআরআইয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এসএম রেজাউল করিম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম, ওসাকার পরিচালক মো. মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়