বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়ায় জোটের মিশন

পরের সংবাদ

লিটনের তিন রানের আক্ষেপ

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে গতকাল ব্যাট হতে ২৩ বলে ৪৭ রানের মারমুখী ইনিংস খেলেন লিটন দাস। মাত্র তিন রান করতে পারলেই ক্যারিয়ারের দশম ফিফটির দেখা পেতেন এই ওপেনার। ফিফটির দেখা না পেলেও আরেক ওপেনার রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে দলীয় সর্বোচ্চ ৮১ রানের জুটি গড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার।
তিন রানের আক্ষেপ থাকলেও ম্যাচে নতুন একটি মাইলফলক স্পর্শ করেন লিটন। বাংলাদেশি ব্যাটারদের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম দেড় হাজার রানের রেকর্ড গড়েন তিনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৫০০ রান করতে লিটনের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৮ রান।
শুরু থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৯ বলেই ২ চার ও এক ছক্কায় এ রান তুলে নেন লিটন। তাতে তিনি ভাঙেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি ব্যাটারদের পক্ষে তামিম ইকবালের করা দ্রুততম দেড় হাজার রানের রেকর্ড। এ মাইলফলকে পা রাখতে লিটনের লেগেছিল ৬৮ ইনিংস। তার আগে ৭১ ইনিংসে দেড় হাজার রান করে এ রেকর্ড নিজের দখলে রেখেছিলেন তামিম।
আন্তর্জাতিক টি- টোয়েন্টিতে এপর্যন্ত ৬৯টি ম্যাচ খেলেছেন লিটন। যেখানে ৬৮ ইনিংসে তিনি করেছেন ১৩০.০২ স্ট্রাইক রেটে ১১৭৬ রান। ছিল নয়টি ফিফটি। গতকাল তিন রান করতে পারলেই আন্তর্জাতিক টি- টোয়েন্টিতে দশম ফিফটির দেখা পেতেন এই তারকা।
তবে ক্রেইগ ইয়াংয়ের বলে আলগা শট খেলে মিড অফে সহজ ক্যাচ দেন তিনি। ৯১ রানে প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা।
আইরিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ইংলিশদের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিজের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেন লিটন। প্রথম দুই ম্যাচে আলো ছড়াতে না পারলেও শেষ ম্যাচে তার ৫৭ বলে ১০ চার আর ১ ছক্কায় গড়া ৭৩ রানের ইনিংসে ভর করেই লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচসেরা পুরস্কার ওঠে এই ব্যাটাররের হাতে। এরপর ওয়ানডে সিরিজে আইরিশদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ছন্দ ধরে রাখেন। তিন ম্যাচে তিন ইনিংস খেলে দুই ফিফটিসহ সিরিজের সর্বোচ্চ ১৪৬ রান করেন তিনি।
বছরের শুরুতে বিপিএলের নবম আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন লিটন। আসরের চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লার হয়ে ১৩ ইনিংসে ২৯.১৫ গড়ে ৩৭৯ রান করেন এই ওপেনার। ফিফটি পেয়েছিলেন ৩টি। ফাইনালে খেলেছিলেন ৫৫ রানের ইনিংস।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ৭১ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের নবম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে দুই হাজার রান পূর্ণ করেন লিটন। ছাড়িয়ে যান দেশের দুই কিংবদন্তি সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে। স্পর্শ করেন সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান বোর্ড কর্মকর্তা শাহরিয়ার নাফিসের রেকর্ড।
ওয়ানডেতে দুই হাজার রান করতে লিটনের লাগে ৬৫ ম্যাচ ও ৬৫ ইনিংস। তার আগে ৬৫ ইনিংসে দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন শাহরিয়ার নাফিস। ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দুই হাজার রানের মাইলফলক ছুয়েছিলেন শাহরিয়ার নাফিস।
সেটি ছিল তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬৫তম ইনিংস। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এত দিন এটাই ছিল দ্রুততম দুই হাজার রানের রেকর্ড। তবে সময়ের হিসেবে দ্রুততম নাফিস। ওয়ানডে অভিষেকের পর ৫ বছর ২৬৬ দিনেই মাইলফলকটির দেখা পান সাবেক এই বাঁহাতি ওপেনার। আর ২০১৫ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়ার পর লিটনের দুই হাজারের ক্লাবে ঢুকতে সময় লাগে ৭ বছর ৯ মাস ২ দিন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়