বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়ায় জোটের মিশন

পরের সংবাদ

বাকৃবি : অভিযোগকারীকে অছাত্র বলছেন প্রভোস্ট

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইসরাত জাহান, বাকৃবি থেকে : নিয়মিত হলে না আসা, কৃত্রিম সিট সংকট তৈরি, হল নির্মাণ ও সংস্কার কাজে অসঙ্গতি এবং ছাত্রদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আবাসিক ঈশা খাঁ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদার বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত রবিবার সন্ধ্যায় প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে ওই হলের কতিপয় শিক্ষার্থী। তবে প্রভোস্ট বলছেন, প্রধানত যে অভিযোগ করেছে সে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশা খাঁ হলের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন ও কুশপুত্তলিকা দাহ করে ওই আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা শিক্ষকের নাম ধরে বিভিন্ন স্লোগান (ফকিরের চামড়া তুলে নেব আমরা, বিচার চাই, বিচার চাই, ফকিরের বিচার চাই) দিতে থাকে। এছাড়াও হল প্রভোস্টের নিঃশর্ত পদত্যাগ এবং শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান তারা। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, হল প্রভোস্ট নিয়মিত হলে আসেন না। কোনো স্বাক্ষর নেয়ার জন্য শিক্ষকের কক্ষে যাওয়ার পরও তাকে পাওয়া যায় না। হলে কৃত্রিম সিট সংকট তৈরি, হল নির্মাণ ও সংস্কার কাজে অসঙ্গতি ও ধীরগতি, হলের দুই ভবনের পাম্পের পানি পানের অযোগ্য। বালুযুক্ত পানি ওঠাসহ নানা অভিযোগ করেন তারা। এমনকি এসব সমস্যা নিরসনে প্রভোস্ট কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে অসঙ্গতি পূর্ণ আচরণ এমনকি গ্রেপ্তার করারও হুমকি দেন।
বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের ঈশা খাঁ হল ইউনিটের সাবেক সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, আজ স্বাধীনতা দিবসে হলের ব্যবস্থাপনায় প্রীতি খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য হল প্রভোস্টকে ফোন দিলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন এবং গ্রেপ্তার করার হুমকি দেন।
ওই হলের শিক্ষার্থী রেজওয়ান বলেন, হলে বিদেশি (নেপাল) শিক্ষার্থীরা দুই কক্ষে ৬ জন থাকে। অন্য এক কক্ষে কেউ থাকে না। ওই কক্ষটি তারা খাওয়া ও রান্না করার কাজে ব্যবহার করে। আমাদের হলে অনেক শিক্ষার্থী সিট (আবাসন) পায়নি। সিট না পাওয়া শিক্ষার্থীদের ওই কক্ষে দেয়ার কথা বললে প্রভোস্ট আমাদের বাধা দেন এবং দুর্ব্যবহার করেন।
এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদা বলেন, আমি নিয়মিত হলে যাই। হলে সারা দিন ডিউটি থাকে না। প্রয়োজন অনুসারে হলে যাওয়া হয়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য তাদের আলাদাভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তারা ব্যতীত আর কেউ থাকতে পারবে না।
হল সংস্কার ধীরগতির বিষয়ে প্রভোস্ট বলেন, হল নির্মাণ ও সংস্কার চলাকালে শিক্ষার্থীরা বাধা প্রদান করে। ছয় মাস আগে তারা হল সংস্কারের সময় ভাঙচুর করে। পানির পাম্প নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। এমনকি নতুন সংযোগ করা হয়েছে। অছাত্র হয়ে আমার কাজে বাধা প্রদান করলে গ্রেপ্তার করা হবে। যে অভিযোগ করছে নিয়মানুযায়ী সে বর্তমানে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী নয়।
হল প্রভোস্ট আরো বলেন, আমি যদি আমার কাজ সঠিকভাবে পালন করতে না পারি তাহলে অবশ্যই পদত্যাগ করব। আর যে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী নয় তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনিই বিষয়টির সমাধান করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়