কাগজ ডেস্ক : ভারতের ত্রিপুরার বিশিষ্ট কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং মারা গেছেন। গতকাল সোমবার প্রাতঃভ্রমণে বের হলে আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার প্রয়াণে রাজ্যের সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। চন্দ্রকান্তের বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যা এবং নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সাহিত্য একাডেমির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মৌখিক সাহিত্য কেন্দ্রের অধিকর্তা। কবি চন্দ্রকান্ত মুড়া?সিংয়ের আক?স্মিক প্রয়া?ণে বাংলাদেশের জাতীয় ক?বিতা প?রিষ?দের সভাপ?তি মুহাম্মদ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক তা?রিক সুজাত গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং ক?বির শোকসন্তপ্ত প?রিবা?রের প্রতি সম?বেদনা জানিয়েছেন। ক?বিতা পরিষদের শোকবার্তায় বলা হয়, সা?হিত?্য-সংস্কৃ?তি ক্ষে?ত্রে চন্দ্রকান্ত মুড়া?সিংয়ের অনন?্য অবদা?নের জন্য বাংলা?দেশ ও ভার?তের মানুষ তা?কে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ কর?বে। তি?নি ছি?লেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও জাতীয় ক?বিতা পরিষদের একজন এক?নিষ্ঠ সুহৃদ। চন্দ্রকান্ত মুড়া?সিং উত্তর-পূর্ব জাতীয় ক?বিতা প?রিষদ গঠন ক?রে বাংলা?দেশ ও উত্তরপূর্ব ভার?তের ক?বি-সা?হি?ত্যিক-সংস্কৃ?তিকর্মী?দের মধ্যে এক নি?বিড় ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গ?ড়ে তু?লে?ছি?লেন। তার প্রয়াণে সাহিত্য জগতে অপূরণীয় শূন?্যস্থান তৈ?রি হয়েছে বলে শোকবার্তায় বলা হয়।
কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিংয়ের জন্ম ১৯৫৭ সালে। তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি আদিবাসীদের ককবরক ভাষায় লেখালেখি করতেন। তার পাঁচটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। ‘সমসাময়িক ত্রিপুরায় জনজীবনের যন্ত্রণা’ তার কবিতার মূল প্রতিপাদ্য। ত্রিপুরার পাহাড়, খর¯্রােতা নদী এবং পাখির গানের সুরকে প্রতিস্থাপন করছেন কবিতায়। ককবরক সাহিত্যের বিকাশে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৭ সালে সাহিত্য একাডেমি, নয়াদিল্লি থেকে ভাষাসম্মান পুরস্কার অর্জন ক?রেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলীর ককবরক ভাষায় স্বরলিপি তৈরি করেন কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং। তিনি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ককবরক সাহিত্য একাডেমি।