বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়ায় জোটের মিশন

পরের সংবাদ

কাজ শেষের আগেই ধসে পড়ল নির্মাণাধীন সেতু : নগরকান্দা

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : নগরকান্দায় কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়ল নির্মাণাধীন সেতু। জোড়াতালি দিয়ে কাজ শেষ কারার পাঁয়তারা করছেন ঠিকাদার। উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের মাঝিকান্দা নামক এলাকায় খালের উপর নির্মাণাধীন সেতুটি ধসে পড়ে। গত ২৪ মার্চ সেতুটির ঢালাই কাজ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে গভীর রাতে সেতুটি ধসে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, নি¤œমানের কাজ করার কারণে হয়তো ধসে পড়েছে।
স্থানীয়রা আরো বলেন, সেতু নির্মাণে পুরনো রড ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী তদন্তপূর্বক টেকসই একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্টেজিং ভালো না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। নিচের গোড়াটা যেভাবে করার দরকার ছিল সেভাবে হয়নি বিধায় এমনটা হয়েছে। এটা একজন ঠিকাদারের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ ক্ষতির দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে। ঠিকাদারের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরবর্তীতে কাজের মান খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাজের মান খারাপ হওয়ার কোনো সুযোগ ও সম্ভাবনা নেই। দুপাশের ঢালাই আরো কিছু ভেঙে নতুন করে স্টেজিং করতে হবে। এর জন্য নতুন করে কোনো বরাদ্দের সুযোগ নেই। ঠিকাদারের নিজস্ব অর্থায়নেই ঠিক করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সেতু নির্মাণে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারনে এমনটি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সেতুতে পুরনো রড ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেতু নির্মাণে কোনো পুরনো রড ব্যবহার হয়নি, এটা শুধু একটা এক্সিডেন্ট মাত্র। সিডিউলে কাঠ ও বাঁশের সাটারিং নাকি স্টিলের সাটারিং ব্যবহার করার কথা রয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ফরিদপুরের সকল ঠিকাদারই কাঠ, বাঁশের সাটারিং ব্যবহার করেন, এই ঠিকাদারও কাঠ বাঁশের সাটারিং ব্যবহার করেছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রোপ্রাইটর রেজাউল করিম বলেন, কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি, কাঠ, বাঁশের সাটারিংয়ের কারণে এমনটি হয়েছে।
সিডিউলে কোনো সাটারিং দিয়ে করার কথা রয়েছে- এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার রেজাউল করিম দির্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন কাজে অনিয়ম করে আসছেন। এমনকি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখান। বলেন, আমি বরকত-রুবেলের মামা। উল্লেখ, ফরিদপুরে দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের মামলার আসামি বরকত – রুবেলের মামা ও তাদের প্রধান সহযোগী রেজাউল করিম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মঈনুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি ঘটনাটি জানতে পেরে উপজেলা প্রকৌশলীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থালে গিয়ে দেখেছি। ব্রিজটিতে সাটারিংয়ের দুর্বলতা ছিল, এখন সঠিকভাবে তৈরি করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়