বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়ায় জোটের মিশন

পরের সংবাদ

ঈশ্বরদী : সম্রাট হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : রূপপুর প্রকল্পের গাড়িচালক স¤্রাট হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবদুল মমিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত রবিবার রাতে ঢাকার হাতিরঝিল থানার বাংলামোটর এলাকা থেকে মমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মমিন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাঁশেরবাদা মধ্যপাড়া (দোকানপাড়া) গ্রামের বাহাদুর খাঁর ছেলে। নিহত স¤্রাট একই উপজেলার মধ্য অরণকোলা রিফুজি কলোনি এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট দুইজন আসামি গ্রেপ্তার হলো। এর আগে মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
‘পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের কারণে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে রূপপুর প্রকল্পের গাড়িচালক স¤্রাট হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।’ র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার স¤্রাট হত্যা মামলার প্রধান আসামি সম্াটের বন্ধু আব্দুল মমিন (৩২) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমনই তথ্য জানিয়েছেন। তবে, কিভাবে, কোনো পরিকল্পনায়, কাদের সাহায্যে সম্রাটকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি র‌্যাব। র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় শনিবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সম্রাটের বন্ধু মমিনকে এক নাম্বার ও তার স্ত্রী সীমাকে দুই নাম্বার আসামিসহ আরো ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের পর থেকেই আসামি মমিন আত্মগোপনে চলে যায়। পলাতক এজাহার নামীয় আসামি মমিনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে র‌্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জের একটি দল, র‌্যাব-৩ এর সহযোগিতায় ঢাকার হাতিরঝিল থানার বাংলামোটর এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মমিনকে গ্রেপ্তার করে।
র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি মমিনকে আমরা ঈশ্বরদী থানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারপর আইনগত প্রক্রিয়া তারা গ্রহণ করবে। এদিকে, সম্রাট হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সীমা খাতুনকে দুইদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার এসআই তহিদ হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমা খাতুনকে রবিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। পাবনা আমলী আদালত-২ এর বিচারক শামসুজ্জামান দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়