১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’ : আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই কেলেঙ্কারি : গোয়েন্দা নজরদারিতে ৪ কর্মকর্তা

পরের সংবাদ

বাস্তবায়ন হয়নি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা : বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের দাবি

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : ২০২০ সালের ২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালীর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজটি সরকারিকরণে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়ার তিন বছর পরও সেই নির্দেশের কোনো বাস্তবায়ন হয়নি। শহীদ পরিবারের স্বজনদের দাবি, কলেজটি জাতীয়করণে তিন বছর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়া দুঃখজনক।
৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গত শনিবার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী গ্রামের বাড়িতে গেলে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের স্বজনরা।
সরজমিন জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে সোনাইমুড়ীর নান্দিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ। তখন থেকে এটি বিভিন্নজনের দান-অনুদানে চলে আসছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কলেজের আধুনিকায়নে অবকাঠামো উন্নয়ন করে সরকার। তবে জাতীয়করণ না হওয়ায় ধুঁকে ধুঁকে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. জহির উদ্দিন বলেন, ২০১২ সাল থেকে এটি জাতীয়করণ করতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো ফল আসেনি। সব মহল থেকে শুধু আশ্বাসই দেয়া হয়েছে। আমরা চাই অতিদ্রুত কলেজটি যেন জাতীয়করণ করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিনের বড় মেয়ে নুরজাহান বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ২০২০ সালের ২ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কলেজটি সরকারিকরণে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। কিন্তু তিন বছর পরও প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। বিষয়টি দুঃখজনক।
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা বেগম বলেন, বীরশ্রেষ্ঠের নামে অজপাড়াগাঁয়ে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি জাতীয়করণ করা হলে এ এলাকার শিক্ষার মান বাড়বে। আমরা মেয়েরাও শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারব।
আরেক শিক্ষার্থী বিলকিস আক্তার বলেন, জাতীয়করণের পাশাপাশি কলেজটিতে অনার্স কোর্স চালু হলে আমাদের জন্য অনেক উপকার হবে। কারণ ২০ কিলোমিটার দূরে মাইজদী গিয়ে আমাদের পক্ষে উচ্চশিক্ষা নেয়া সম্ভব নয়।
বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক শ্রেণিতে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এছাড়া ৩৪ জন শিক্ষক ও ১৬ জন কর্মচারী রয়েছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহীম বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের একমাত্র বীরশ্রেষ্ঠের নামে প্রতিষ্ঠিত শহীদ রুহুল আমিন কলেজটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুডবুকে আছে। অচিরেই কলেজটি জাতীয়করণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়