১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’ : আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই কেলেঙ্কারি : গোয়েন্দা নজরদারিতে ৪ কর্মকর্তা

পরের সংবাদ

তরমুজে ছেয়ে গেছে বরিশালের পোর্ট রোড

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম কে রানা, বরিশাল থেকে : প্রতি বছরের মতো এবারো বরিশালের বৃহৎ মৎস্য ও ফলের আড়ত পোর্ট রোড মৌসুমি ফল তরমুজে ছেয়ে গেছে। দিন যত যাচ্ছে তরমুজের আমদানি তত বাড়ছে। সেই সঙ্গে কর্মব্যস্ততা বাড়ছে বাণিজ্যিক এলাকা পোর্ট রোড ও কলাপট্টির আড়তগুলো ঘিরে থাকা শ্রমিকদের। শ্রমিকরা জানান, অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকায় বরিশালের বৃহৎ বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র অনেকটা নিস্তব্দ থাকে। তবে গত ১ দশকের বেশি সময় ধরে আশপাশের ফলের আড়তসহ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গাগুলোও তরমুজের দখলে চলে যায়। অনেক মাছ ব্যবসায়ী বা আড়তদার এ সময়টাতে তরমুজে লগ্নি করেন এবং বেশ ভালো মুনাফাও তুলে নেন। এ কারণে এখানকার শ্রমিকরা কর্মহীন থাকে না বললেও চলে।
এদিকে গোটা দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে তরমুজ আবাদের পরিমাণ বেড়েছে জানিয়ে কৃষকরা বলেন, আবাদের পরিমাণ বাড়ায় তরমুজের উৎপাদনও গত বছর থেকে এবার বেড়েছে। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার কৃষক কলিম হাওলাদার বলেন, প্রাকৃতিক কারণে এবারো তেমনভাবে তরমুজের কোনো ক্ষতি হয়নি। আর ফলন ভালো হওয়ায় লোকসানের কোনো শঙ্কাও দেখছেন না।
বাউফলের কৃষক কাশেম বলেন, আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে তরমুজ চাষ করছি, আমাদের দেখাদেখি তরমুজের প্রতি অন্য কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এবার তরমুজের আবাদ বেড়েছে। তবে কোনো কোনো জায়গায় তরমুজে ছত্রাকের মতো নতুন রোগ দেখা দিয়েছে। যদিও তাতে উৎপাদনে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তিনি বলেন, বরিশালে যে দাম পাওয়া যাচ্ছে, সেই হিসেবে যে খরচ হয়েছে তাতে সব তরমুজ বিক্রি করে লাভ তেমন একটা হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে মোস্তফাপুরসহ ঢাকার দিকে দাম বেশি বলে শুনছি।
দক্ষিণাঞ্চলের যেসব জায়গা থেকে বরিশালে তরমুজ আসছে তার মধ্যে ভোলার চরফ্যাশন, পটুয়াখালীর দশমিনা, গলাচিপা, বাউফলের অনেক কৃষকের অভিযোগ, সময়মতো কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে পান না। তাই পাশের অভিজ্ঞ চাষি নয়তো বীজ ও সার সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানের লোকদের সহায়তা নিতে হয়েছে তাদের।
এদিকে আবাদের কারণে তরমুজের উৎপাদন বাড়লেও দাম এ বছর তেমন একটা বাড়েনি। পোর্টরোডের ফল ব্যবসায়ী গনেশ দত্ত বলেন, ১৫ দিন আগে থেকে তরমুজের আমদানি শুরু হয় পোর্ট রোডের ফলের আড়তগুলোতে। আর এখন তো ফলসহ মাছের আড়তও তরমুজের দখলে চলে গেছে। আর এখান থেকেই ট্রাক বোঝাই করে তরমুজ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এ অবস্থা চলবে আরো একমাসজুড়ে। এদিকে খুচরা বাজারে এরই মধ্যে তরমুজের বেচা-বিক্রি জমে উঠেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাকিব নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ১৫ হাজার টাকা দামে ১০০ পিস মাঝারি সাইজের তরমুজ কিনেছি। আর খরচ মিলিয়ে ১৭ হাজার টাকা পড়েছে। সেই হিসেবে ১৭০ টাকার প্রতি পিস তরমুজ ২০০ টাকার নিচে বিক্রি করা যাবে না। আর ২০০ টাকার নিচে কোনো তরমুজ ক্রেতাদের পছন্দও হবে না। এখন একটু দাম বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়