১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’ : আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই কেলেঙ্কারি : গোয়েন্দা নজরদারিতে ৪ কর্মকর্তা

পরের সংবাদ

টি-টোয়েন্টিতে সিরিজসেরার লড়াইয়ে এগিয়ে ওরা চারজন

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আইরিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় সফরকারীদের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। এর আগে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল সাকিব বাহিনী। দারুণ ব্যাটিং করে সিরিজসেরা হয়েছিলেন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর আয়ারল্যান্ডকে ওয়ানডেতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারায় তামিম বাহিনী।
এই সিরিজে টাইগারদের হয়ে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক উইকেটেরক্ষক ব্যটার মুশফিকুর রহিম সিরিজসেরা নির্বাচিত হন। দুই সিরিজেই ব্যাটে বলে দারুণ ছন্দে ছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আর শেষ ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন লিটন দাস। ফলে আইরিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সিরিজসেরা হওয়ার দৌড়ে এইগয়ে আছেন এই চার তারকা। এই চার তারকার সঙ্গে আছেন ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে দারুণ বোলিং করা তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ ও অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদ।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যায় টাইগাররা। তবে তৃতীয় ম্যাচে ইংলিশদের হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ায় সাকিব-লিটনরা।
সেই সুবাদে টানা তিন ম্যাচেই বাটলার বাহিনীকে হারের স্বাদ দেয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সিরিজে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ম্যাচে ৫১ রান করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়ার দ্বিতীয় ম্যাচে করেন অপরাজিত ৪৬ রান।
আর শেষ ম্যাচে খেলেন ৩৬ বলে খেলেছেন ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস। সবমিলিয়ে এই সিরিজে সর্বোচ্চ রান ১৪৪ রান সংগ্রহ করে সিরিজসেরা নির্বাচিত হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ছিলেন আইরিশদের বিপেক্ষ ওয়ানডে সিরিজেও। সেই ধারবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে টি-টোয়েন্টিতে আবারো সিরিজসেরা হতে পারেন শান্ত।
অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে ছন্দ খুঁজে পান উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
প্রথম ম্যাচে ২৬ বলে ৪৪ রানের মারমুখী ইনিংস খেলার পাশাপাশি দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬০ বলে বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকান এই ব্যাটার। তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামার আগেই জয় পায় টাইগাররা। তিন ম্যাচে দুই ইনিংস খেলে ১৬৭.৪৪ রেটে করেন ১৪৪ রান। সেই সুবাদে সিরিজসেরা নির্বাচিত হন তিনি। ব্যাট হাতে এই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে আইরিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সিরিজসেরা নির্বাচিত হতে পারেন এই ব্যাটার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে আলো ছড়াতে পারেননি ওপেনার লিটন দাস।
তবে শেষ ম্যাচে এসে লিটন খেলেছেন টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। তার ৫৭ বলে ১০ চার আর ১ ছক্কায় গড়া ৭৩ রানের ইনিংসে ভর করেই লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শেষদিকে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয় পায় বাংলাদেশ।
দুর্দান্ত ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচসেরা পুরস্কার ওফে এই ব্যাটাররের হাতে। এরপর ওয়ানডে সিরিজে আইরিশদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ছন্দ ধরে রাখেন। তিন ম্যাচে তিন ইনিংস খেলে এই ওপেনার করেন দুই ফিফটিসহ ১৪৬ রান। যা ছিল এই সিরিজের সর্বোচ্চ। ব্যাটিংয়ের এই ধারবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে আইরিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ম্যাচসেরা পুরস্কার উঠতে পারে ডানহাতি এই ব্যাটারের হাতে।
আর অলরাউন্ডার সাকিবের কল্যাণে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে জয় পায় টাইগাররা। দলের প্রয়োজনে দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ৭১ বলে ৭ চারের সাহায্যে ৭৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন সাকিব।
পরে ইংল্যান্ডকে ১৯৬ রানে গুটিয়ে দেয়ার পেছনেও বড় অবদান সাকিবেরই। ১০ ওভারে ৩৫ রান খরচায় বাঁহাতি এই স্পিনার নেন ৪টি উইকেট।
সেই ম্যাচে ম্যাচসেরা হন তিনি। পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে ১৪১ রানের পাশাপাশি বল হাতে নেন ৬ উইকেট। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাট হাতে ৩৪ রানের পাশাপাশি বল হাতে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে করেন ১১০ রান আর বল হাতে নেন ১ উইকেট। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্য সিরিজ হওয়ার কীর্তিও সাকিবের।
২৩০টি ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার সিরিজসেরা হয়েছেন ৭ বার। তাই টি-টোয়েন্টিতে ছন্দ ধরে রাখতে পারলে সিরিজসেরা হতে পারেন এই অলরাউন্ডার।
এছাড়া আইরিশদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে বল হাতে জ্বলে ওঠেন টাইগার পেসাররা।
ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেন টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ আর তিন উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ৩২ রানে ৫ উইকেট শিকার করা হাসান শেষ ম্যাচে ম্যাচসেরার নির্বাচিত হন। আর নিয়মিত উইকেট শিকার করছিলেন তাসকিন। এই সিরিজেও এমন ছন্দ ধরে রাখতে পারলে সিরিজসেরা নির্বাচিত হতে পারেন টাইগার পেসাররা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়