তুরাগ : মাদক কারবারির হাতে ছুরিকাহত এসআই

আগের সংবাদ

বাজারে ক্রেতার নাভিশ্বাস

পরের সংবাদ

বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষে কৃষকের সফলতা

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শফিকুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ (বরিশাল) থেকে : এক টুকরো জমি থাকবে না অনাবাদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণার পর এবারই প্রথমবারের মতো বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পতিত চরে বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এতে সফল হয়েছেন কৃষক। উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের উত্তর রফিয়াদি গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল আড়িয়াল খাঁ নদীর অনাবাদি চরের ৮ একর জমিতে সুস্বাদু এ তরমুজ চাষ হয়েছে।
জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার ১নং রনগোফালদি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. খলিল প্যাদার ছেলে রাসেল প্যাদা স্থানীয় জুলহাস কবিরাজের ৮ একর জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেন। প্রথম অবস্থায় স্থানীয়রা তরমুজ চাষ নিয়ে হাসাহাসি করলেও সফলতা দেখে সবাই অবাক। রাসেল প্যাদা ৮ একর জমি এক সিজনের জন্য ১ লাখ ৪ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ শুরু করেন। ৮ একর জমিতে তরমুজের বীজ রোপণ থেকে শুরু করে ফল বিক্রি করার আগ পর্যন্ত সাড়ে ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ চরের জমিতে সারি সারি তরমুজ ফলেছে। তরমুজ ৪-১২ কেজি ওজনের হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০০ পিস তরমুজ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। সে হিসাবে প্রতি পিস তরমুজ গড়ে ১৬০ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ৮ একর জমিতে ১৩ হাজার থানা বেঁধে ২৬ হাজার বীজ রোপণ করেন রাসেল প্যাদা। প্রতিনিয়ত ৪ জন শ্রমিক তরমুজ চাষে শ্রম দিয়ে আসছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হালিম বলেন, এর আগে এই চরে কেউ তরমুজ চাষ করেনি। ফলন ভালো হওয়ায় ওই এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও আগামী বছর তরমুজ চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তরমুজ চাষি রাসেল প্যাদা বলেন, আমি এই এলাকায় বেড়াতে এসে জমির মালিকের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার কাছ থেকে জমিটি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করি। এখানের মাটি খুব উর্বর তাই ফলন ভালো হয়েছে। কোনো ধরনের দুর্যোগ না হলে আশা করা যায় লাভ হবে। বাজারে তরমুজের চাহিদা রয়েছে। আশা করি ঈদের আগেই সব তরমুজ বিক্রি করে ঘরে উঠাতে পারব। খুচরা বাজারে তরমুজের দাম অনুযায়ী পাইকারি বাজারে দাম একটু কম। তরমুজ চাষ একটি জুয়ার মতো। ভালো হলে লাখো পতি, খারাপ হলে খয়রাতি। আমরা আশাবাদী লাভ নিয়ে ঘরে ফিরব।
বাবুগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বাবুগঞ্জে ভবিষ্যতে কেউ তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী হলে কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। কৃষি অধিদপ্তর তরমুজ চাষ বৃদ্ধিতে কাজ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়