সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ : মতিয়া চৌধুরী, সংসদ উপনেতা

পরের সংবাদ

হাওড়ের বুকে দৃষ্টিনন্দন বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : হাওড়াঞ্চলে জেলা সুনামগঞ্জ। প্রতিনিয়তই আগাম বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয় এই অঞ্চলের মানুষদের। এই বিষয়টা চিন্তা করেই সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের ঈশাকপুর-শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ তলা বিশিষ্ট বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছে সরকার। নান্দনিক আধুনিক মানের এই বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ হওয়ায় পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ বিভিন্ন দুর্যোগে যেমন নিরাপদ আশ্রয় পাবে, তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা সারা বছর ক্লাস করতে পারবে। এতে তাদের শ্রেণিকক্ষ সমস্যারও সমাধান হবে। আজ শনিবার দৃষ্টিনন্দন এই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রটির উদ্বোধন করবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকার সারাদেশে বন্যা প্রবণ ও নদী ভাঙন এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় শান্তিগঞ্জের ঈশাকপুর-শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়েও ৩ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার ১০০ টাকা ব্যয়ে একটি ৩ তলাবিশিষ্ট বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে বিভিন্ন দুর্যোগে ওই এলাকার মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সারা বছর ভবনে ক্লাস করতে পারবে। যা একসঙ্গে দুই কাজেই বড় ভূমিকা পালন করবে। গেল বছরের বন্যাতেও এই ভবনে অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। বহুল প্রত্যাশিত এই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রটি আজ শনিবার উদ্বোধন করবেন এই এলাকার সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয়রা উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ৩ তলা বিশিষ্ট এই দৃষ্টিনন্দন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ হওয়ায় এলাকার মানুষ বিপদে যেমন আশ্রয় নিতে পারবে। তেমনি বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী সুন্দর মনোরম পরিবেশে ক্লাস করতে পারবে। এই দৃষ্টিনন্দন ভবনটি হওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আধুনিক মানের এই ৩ তলা ভবনটি হওয়ায় এখানে নানা দুর্যোগে এলাকার মানুষ নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও সারা বছর ক্লাসরুম হিসেবে আশ্রয় কেন্দ্রটি ব্যবহার করতে পারবে। শনিবার ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়