প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

ব্রিজ নির্মাণের চার বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক : ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাকিব আল হাসান নাহিদ, মেলান্দহ (জামালপুর) থেকে : মেলান্দহ উপজেলায় রাস্তার একটি খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। ফলে সরকারিভাবে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করে নির্মিত ব্রিজটি অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। উদ্বোধনের প্রায় চার বছর হলেও এ ব্রিজে সুফল পাচ্ছেন না কেউ। ব্রিজ নির্মাণের চার বছরেও রাস্তা নির্মাণে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষুব্ধ ওই এলাকার লোকজন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল, বন্যায় তা ভেঙে গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের বাগুরপাড়া এলাকার কনক রাইস মিলের পাশে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চার বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ হলেও এক পাশের সংযোগ সড়ক না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন তারা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ৩৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩২ লাখ টাকা। স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ নির্মাণের পরে এক পাশের সংযোগ সড়কে এক কোদাল মাটিও কাটা হয়নি। সংযোগ সড়ক না হওয়ায় ধানক্ষেতের আইল দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের। ক্ষেতের আল দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে ব্যথাও পেয়েছেন অনেকে। বর্ষাকালে আবার এ সুযোগটুকুও থাকে না। অনেক দূর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের। এতে মালামাল বহনে গুনতে হয়ে অতিরিক্ত টাকা। ব্রিজের সংযোগ সড়ক হলে বয়রাডাঙ্গা, উত্তরপাড়া ও বাগুরপাড়াসহ পাঁচ গ্রামের মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে বলে জানান স্থানীয়রা।
বাগুরপাড়া এলাকার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিহাদ মিয়া বলেন, ব্রিজ হলেও যাতায়াত করতে পারি না সড়ক না থাকায়। ধানক্ষেতের আইল দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টির দিনে আইল দিয়ে যাওয়া যায় না, খুব কষ্ট করে যেতে হয়। সংযোগ সড়ক হলে আমাদের জন্য যাতায়াত খুব সহজ হবে। আমরা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারব।
এলাকার আব্দুল গফুর জানান, ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাফেরা করতে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়। জনস্বার্থের সেতুটি দীর্ঘদিন জনদুর্ভোগে পরিণত হয়ে আছে। সবাই আশ্বাস দিলেও আজও বাস্তবায়ন হয়নি অসমাপ্ত কাজ। কৃষক হামেদ আলী বলেন, সরকার আমাদের এ ধরনের ব্রিজ দিয়ে আরো লজ্জিত করেছে। চার বছর আগে ব্রিজ হলেও একদিনও চলতে পারি নাই এই ব্রিজ দিয়ে। আগেই ভালো ছিল। এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাস্তায় মাটি কাটা হয়েছিল বন্যায় ভেঙে গেছে। মাটি কাটার কোনো চিহ্নই তো নেই- এ প্রশ্নে তিনি নিশ্চুপ হয়ে অফিস ত্যাগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম মিঞা ভোরের কাগজকে বলেন, সরজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়