প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে অগ্রগতি নেই : ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই দুই মাসেও।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কামাইছড়া পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত।
জানা যায়, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (সদর সার্কেল) ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু দীর্ঘ দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ওই তদন্তে কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পুলিশ সদস্যের পক্ষ নিয়ে ওই তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তদন্তকাজে গড়িমসি করছেন। এমনকি নিজ এলাকা ভালুকা থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন পুলিশ কর্মকর্তা। ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী নারী থানায় এসেছিলেন। শুনেছি অভিযোগের বিষয়ে ওই পুলিশ সদস্যের কর্মস্থলে তদন্ত চলছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় পাশের গ্রামের এক নারীর। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে সাইফুল ইসলাম ছুটিতে আসা যাওয়ার পথে ওই নারীর বাসায় যাতায়াত শুরু করেন। এরপর ওই নারীর স্বামীকে সাইফুল ডিভোর্স দিতে বাধ্য করেন। গত কয়েক মাস ধরে প্রতারণার শিকার নারীকে পুলিশ সদস্য এড়িয়ে চলা শুরু করলে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এমন অবস্থায় ওই নারী দুই সন্তান নিয়ে বিচারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
বিয়ের আশ্বাসে বিভিন্ন রিসোর্ট ও আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে সাইফুল ইসলাম। তবে কয়েক মাস ধরে তিনি ওই নারীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জানতে পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জেনে তিনি মোবাইল বন্ধ করে দেন।
সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, তদন্তকাজ চলছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়