শেয়ারট্রিপ : অনলাইনে তারিখ পরিবর্তন ও রিফান্ড সেবা চালু

আগের সংবাদ

চিকিৎসা ব্যয়ে পিষ্ট রোগীরা : চিকিৎসায় রোগীর নিজস্ব ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ, সবচেয়ে বেশি ব্যয় ওষুধ কিনতে- ৬৫ শতাংশ

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ : পরাজয় জেনেই সুপ্রিম কোর্টে ব্যালট ছিনতাই করেছে বিএনপিপন্থিরা

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপিপন্থিরা ব্যালট ছিনতাই করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিএনপির আইনজীবীরা যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তা বাংলাদেশ, বিচার বিভাগ ও সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে কালিমা লেপন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নারীদের সম্মাননা দেয়া হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোপূর্বে বিএনপির আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। গত বুধবার তারা ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে। তারা আসলে প্রতিষ্ঠানকেই ধ্বংস করতে চায়। কোনো প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলুক- সেটি তারা চায় না। ঢাকা বার নির্বাচনে হারার পর বিএনপি বুঝতে পেরেছে সুপ্রিম কোর্টেও তারা হারবে। সে কারণেই প্রথমে ভোট বর্জনের নাটক, পরে ব্যালট পেপার ছিনতাই। এভাবে তারা সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চায়। তারা আগামী নির্বাচনকেও বাধাগ্রস্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন কারো জন্য থেমে থাকবে না।
ড. হাছান বলেন, তারেক রহমান আর খালেদা জিয়া নির্বাচন চায় না। কারণ তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও আমি বলতে পারি বিএনপির নেতারা নির্বাচন করবে। সুতরাং সবাইকে নিয়েই নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।
এ সময় নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আরো গতিশীল করতে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে সরকারের উন্নয়ন মানুষের দোরগোড়ায়, বিশেষ করে নারী সমাজের কাছে পৌঁছে দেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম নারী চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য ফারজানা ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় কারাতে খেলোয়াড় মারজানা আক্তার প্রিয়া, প্রথম নারী মেট্রোরেল অপারেটর মরিয়ম আফিজা ও প্রথম নারী ট্রেন অপারেটর আসমা আক্তারকে সম্মাননায় ভূষিত করে মহিলা আওয়ামী লীগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়