ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

যৌন হয়রানির অভিযোগ : দেবিদ্বারে প্রধান শিক্ষক দিনভর অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কুমিল্লার দেবিদ্বারে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনকে দিনভর অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ সময় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা প্রধান শিক্ষকের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া উত্তেজিত জনতা একটি সিএনজি ও বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের কয়েকটি দরজা ভাঙচুর করে। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ করেন তারা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। বিক্ষোভ চলাকালে রাত ৮টার দিকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। আহতদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন বাঙ্গরাবাজার থানার কনস্টেল জহিরুল ইসলাম ও দেবিদ্বার থানার কনস্টেবল সারোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মুক্তল হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, এর আগেও মোক্তল হোসেন অপর একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকাকালে ছাত্রীদের সঙ্গে এমন অপকর্ম করেছেন। পরে তাকে ওই স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এবার দেবিদ্বারে এসে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সে এই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।
এদিকে রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন, ইউএনও ডেইজি চক্রবর্তী, দেবিদ্বার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা, দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধরসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা দিতে চান। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়