মাদ্রাসা কর্মচারীর কাণ্ড : জাতীয় পরিচয়পত্র ও এমপিওতে ভিন্ন তারিখ!

আগের সংবাদ

যে কারণে দলে নেই মাহমুদউল্লাহ

পরের সংবাদ

তিন সিরিজে অংশ নিতে সিলেটে আইরিশরা

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ব্যস্ত সময় পার করছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যেই গতকাল একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেন আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। আগামী ১৮ মার্চ থেকে তাদের বিপক্ষে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে টাইগাররা। তাই বাংলাদেশে পৌঁছার পর গতকাল দুপুর ১২টায় সিলেট চলে যান আইরিশরা।
দীর্ঘদিন যাবত ইংল্যান্ড দলের মতোই আয়ারল্যান্ডও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসেনি। দীর্ঘ ১৫ বছর পর তারা বাংলাদেশে এসেছে। এর আগে ২০০৮ সালে তারা তামিম-সাকিবদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজে খেলার জন্য বাংলাদেশে এসেছিল। এরপর ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ঢাকায় আসে তারা। দীর্ঘ সময় পার করে এবার আইরিশরা এদেশে এসেছে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ, তিনটি বিশ ওভারের ম্যাচ এবং একটি টেস্ট ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার উদ্দেশ্য নিয়ে। মূল সিরিজ শুরু হওয়ার আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে ১৫ মার্চ একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। এর আগের দিনই ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এই পূর্ণাঙ্গ সিরিজের তিন সংস্করণেই নেতৃত্ব দেবেন অ্যান্ড্রু বালবির্নি। ঢাকায় আসার আগে নিজেদের প্রাথমিক স্কোয়াডে দুই দফায় পরিবর্তন এনেছে আয়ারল্যান্ড। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগে অংশ নিতে ওয়ানডে দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জস লিটল। টি-টোয়েন্টি দলের এক সদস্য বাংলাদেশে আসেননি পড়াশোনার ব্যস্ততার কারণে। এই দুজনের জায়গায় নেয়া হয়েছে ফিওন হ্যান্ডকে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গে টেস্ট দলেও খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। দেশ ছাড়ার আগে চোটের কারণে তিন সংস্করণ থেকেই ছিটকে যান ব্যারি ম্যাকার্থি। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন টম মায়েস।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের দেখা পেয়েছেন সিলেটের স্থানীয়রা। আগামী ১৫ মার্চ একটি প্রস্তুতি ম্যাচের পর এই মাঠেই ১৮ মার্চ প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে জয়ের লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড দল। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়। ২০ মার্চের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচও একই মাঠে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে। চলতি মৌসুমে এই ওয়ানডে সিরিজই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এর আগে বাংলাদেশ সফরে এসে ইংল্যান্ডের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল দেশের এই সর্বোচ্চ নান্দনিক স্টেডিয়ামে।
তবে ইংলিশদের ব্যস্ততার কারণে ম্যাচ দুটি বাতিল করা হয়। ফলাফল হিসেবে সিলেটবাসীকে আয়ারল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড দল পাড়ি জমাবেন চট্টগ্রামের মাটিতে। জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে দুই দল ২৭ মার্চ দুপুর ২টায় প্রথম বিশ ওভারের ম্যাচটি খেলবে। পরের দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ও ৩১ মার্চ দুপুর ২টায়। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দুই দল ঢাকার পথ ধরবেন। ঢাকায় ফিরে এক দিন বিশ্রাম এবং দুই দিন অনুশীলন শেষে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪ মার্চ একমাত্র টেস্ট ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে। এই ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়। এই টেস্ট ম্যাচটি হবে আইরিশদের চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ। ২০১৯ সালের পর আর কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেনি আয়ারল্যান্ড। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পর ২০১৯ সালে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে তারা। তিন টেস্টেই আয়ারল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।
বাংলাদেশে আসার আগে আসন্ন সিরিজকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন আইরিশ অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের বিপক্ষে ভালো খেলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন ছিল। তবে আমি তা উপভোগ করেছি। একেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের একেক রকম অভিজ্ঞতা। বিপিএলও সে রকমই। আমার জন্য ভালো অভিজ্ঞতা বলতেই হয়। আমার খেলা এতে আরো উন্নত হবে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। সেই অভিজ্ঞতাটা নিশ্চয়ই এই সিরিজে কাজে লাগবে। আমি আর ক্যাস্পার ব্যাটিং ও বোলিং গ্রুপের সঙ্গে এ নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা করব।’
টাইগারদের হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার স্বপ্নে আইরিশ অধিনায়ক বিভোর থাকলেও ঘরের মাঠে বরাবরই সেরা লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েই সিরিজ ছিনিয়ে নিয়েছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে ইংলিশরা ৬ উইকেটে পরাজিত হয়। পরের ম্যাচেও তারা ৪ উইকেটে পরাজিত হয়ে সিরিজ হাতছাড়া করে। এর আগে ঘরের মাঠেই অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছিল সাকিব বাহিনী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়