অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

ভাঙ্গুড়ায় নানা আনুষ্ঠানিকতায় বিয়ে হলো বট-পাকুরের

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সনাতন ধর্মীয় রীতিতে বট ও পাকুর বৃক্ষের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈদিক মন্ত্র উচ্চাণের মধ্য দিয়ে উপজেলার পৌর সদরের মেন্দা মহাশ্মশান চত্বরে অবস্থিত দুটি বৃক্ষ বট ও পাকুর এর বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে চলে মধ্যরাত অবধি। এ সময় শত শত নারী পুরুষের উপস্থিতিতে বিশিষ্ট পুরোহিত শ্রী প্রদীপ কুমার গোস্বামীর মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে এ বিয়ে সম্পন্ন করেন। এ সময় উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের উলু ধ্বনিতে মহাশ্মশান চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে।
বট-পাকুর বৃক্ষের বিয়ে হয়-এমন কথা জনশ্রæতিতে শোনা গেলেও বাস্তবে বিয়ের দাওয়াতপত্র তৈরি, বর-কনের উভয় পক্ষকে আমন্ত্রণ, বিয়ের স্থানের প্রবেশ পথ ও শ্মশান এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানোসহ নানা অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সনাতন ধর্মীয় রীতিতে বট পাকুর বৃক্ষের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বট-পাকুর বিয়ে উপলক্ষে সমগ্র মহাশ্মশান সাজানো হয়েছে নানা আয়োজনে। আর সাজানো হয়েছে বট ও পাকুর নামের দুটি বৃক্ষকে। বৃক্ষ দুটিকে পরানো হয়েছে বিয়ের বেনারসি শাড়ি ও ফুলের মালা। সন্ধ্যা গড়িয়ে যেতেই সনাতন ধর্মাবলম্বীর শত শত নারী পুরুষ জমা হতে থাকে মহাশ্মশান চত্বরে। এক পর্যায়ে বর পক্ষের লোকজনের আগমন, অতিথি বরণ ও আপ্যায়নসহ সব কিছুই সনাতন ধর্মীয় রীতিতে করতে দেখা গেছে। এ সময় অনেকে অধীর আগ্রহ নিয়ে বট পাকুর বৃক্ষের বিয়ের অনুষ্ঠান এক পলক দেখতে ভিড় জমায় মহাশ্মশান চত্বরে। অবশেষে হিন্দু ধর্মমতে নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশিষ্ট পুরোহিত শ্রী প্রদীপ কুমার গোস্বামী মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করেন। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে নানা আনুষ্ঠানিকতা। জানা গেছে, বহুদিন আগে মেন্দা মহাশ্মশান চত্বরে ভাঙ্গুড়া বাজারের পুলক কুমার ধর্মবৃক্ষ কল্যাণীয় পাকুরেশ্বর (পাকুর) ও মেন্দা কালিবাড়ি এলাকার শ্রী সাগর কুমার পাল ধর্মবৃক্ষ কল্যাণীয়া বটেশ্বরী দেবি (বট) রোপণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় একজন বরের বাবা ও একজন কনের বাবার ভূমিকা পালন করে এই বিয়ের আয়োজন করেন। সনাতন ধর্ম মতে, ধর্মবৃক্ষ বট ও পাকুরের বিয়ে দর্শন মাত্র মঙ্গল হবে। তাই সাগর কুমার পাল ও পুলক কুমার চাকী এ বিয়ের আয়োজন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি শ্রী সংগীত কুমার পাল, সাধারণ সম্পদক সমর জিৎ গুণ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী মলয় কুমার দেব, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল কুমার রায়সহ শত শত সনাতন ধর্মের নারী-পুরুষ প্রমুখ ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়