কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

মেসি-এমবাপ্পেদের বিদায়ঘণ্টা বাজাল বায়ার্ন মিউনিখ

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে পিএসজি। এর আগে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরেছিল ক্রিস্টফ গালতেয়ারের শিষ্যরা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বায়ার্ন। লিগের অপর ম্যাচে টটেনহ্যামের সঙ্গে দ্বিতীয় লেগে গোলশূন্য ড্র করে এসি মিলান। তবে প্রথম লেগে এক গোলে এগিয়ে থাকায় আট বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে সিরি আ’র বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
মিউনিখের আলিয়াঁজ অ্যারেনাতে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। প্রথমার্ধে সবদিকেই এগিয়ে ছিল তারা। চোটের কারণে নেইমার না থাকলেও শুরু থেকেই একাদশে ছিলেন মেসি ও এমবাপ্পে। ম্যাচের ২ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল তারা। তবে এমবাপ্পের নেয়া জোরালো শট রখে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সামার। ম্যাচের ১৯ মিনিটে আবরো গোলের সুযোগ পেয়ে বল বাইরে দিয়ে মারেন এমবাপ্পে। এরপর ম্যাচের ২৫ মিনিটে ডি-বক্সে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান মেসি। জটলার মধ্যে তিনটি শট নিলেও শেষ পর্যন্ত জমা হয় তার সামারের গøাভসে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে পিএসজিকে রক্ষা করেন ডোনারুমা। জামাল মুসিয়ালার শট ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক। তবে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ভিতিনিয়ার নেয়া দুর্বল শট বায়ার্নের গোলপোস্টের কাছাকাছি গেলে গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ম্যাথিউস ডি লিট। ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর আর দাপট ধরে রাখতে পারেনি পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন চুপো মোটিং। এরপর ম্যাচের ৫২ মিনিটে বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল করেন রেফারি। তবে ম্যাচের ৬১ মিনিটে মোটিংয়ের গোলেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। প্রথমবার অফসাইডের বাঁশি বাজলেও ভিএআরে গোলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৮২ মিনিটে গোলের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রামোস। তবে তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর ম্যাচের ৮৯ মিনিটে পিএসজির জালে দ্বিতীয় গোল দেন সার্জিও গ্যানাব্রি। জোয়াও কানসেলোর কাছ থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। এরপর যোগ করা সময়ে সাদিও মানে বল জালে জড়ালেও অফসাইড থাকায় গোল হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে ১৩ বারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচ শেষে বায়ার্ন অধিনায়ক টমাস মুলার বলেন, ‘আমাদের ভাগ্য সহায় ছিল। সত্যি কথা বলতে কি ফুটবলে এগিয়ে যেতে হলে ভাগ্যের সহায়তার প্রয়োজন হয়। আমরা যদি ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়তাম তবে দল কিভাবে খেলত সেটা বলা যায় না।’
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ ক্রিস্টফ গালতেয়ার বলেন, ‘এটা ভীষণ হতাশাজনক। আমরা যখন সুযোগ পেয়েছি তখন গোল করতে পারিনি। প্রথমার্ধে ভালো করেছি তবে প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাল মেলাতে পারি। আমরা যদি প্রথমে গোল করতাম, তাহলে সেটা অন্যরকম হতো, কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। ড্রেসিং রুমে দারুন হতাশা বিরাজ করছিল। আমরা কেউই এই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি চাই না, সবকিছু পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপর ম্যাচে প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল এসি মিলান। দ্বিতীয় লেগে টটেনহ্যামের ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে থাকায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। এর ফলে ১১ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল তারা। সান সিরোতে আগের ম্যাচে হারার কারণে টটেনহ্যামের সামনে সুযোগ ছিল ঘরের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার। শুরু থেকে আক্রমণ করে খেলতে থাকে তারা। তবে মিলানের রক্ষণ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্র নিয়ে। বিরতির পর আবারো গোলের জন্য মরিয়া হয় স্পার্সরা। তবে ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান রোমেরা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে আরও পিছিয়ে পড়ে দলটি। শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি তারা। বিদায় নিতে হয় চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকেই। এর আগে এফএ কাপ থেকেও তারা বিদায় নেয়। সর্বশেষ তিন ম্যাচের একটিতেও গোল করতে পারেনি টটেনহ্যাম। তিনটিতেই হেরেছে তারা। ম্যাচ শেষে টটেনহ্যাম ছাড়ার ইঙ্গিত দেন স্পার্স কোচ অ্যান্তোনিও কন্তে। তিনি বলেন ‘টটেনহ্যামের সঙ্গে আমার একটি চুক্তি আছে।
সেটি জুনে শেষ হবে। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিবো আসলে কি করা যাবে। আসলে প্রত্যাশা তো অবশ্যই ছিল। কিন্তু এখন হতাশা বাড়ল। আমি আসলে ভক্ত-সমর্থকদের কাছে দুঃখিত। আমরা তাদের জন্য জয় উপহার দিতে পারিনি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়