এবার ডিএনসিসির গাড়িচাপায় বাইক চালকের মৃত্যু : মেশিনে পেঁচিয়ে নিহত ১

আগের সংবাদ

আতঙ্কের বসতি পুরান ঢাকা : কেমিক্যাল গোডাউন না সরায় ক্ষোভ, নিমতলীর ১৭ দফা বাস্তবায়ন জরুরি

পরের সংবাদ

ইসরায়েলের অভিযান : পশ্চিম তীরে শরণার্থী শিবিরে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতের এ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, নিহত ব্যক্তিরা সবাই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী। এর মধ্যে হুওয়ারা গ্রামের কাছে এক ইহুদি বসতিতে দুই ভাইকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হামাস সদস্যও আছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার ভোরে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের দিকে একটি রকেট ছোড়া হয়। এরপর রকেট হামলাজনিত সতর্কসংকেত বাজানো হলে ইসরায়েলিরা নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটে যান। তবে শেষ পর্যন্ত রকেটটি ইসরায়েল পর্যন্ত পৌঁছায়নি। গাজাতেই এটি পড়েছে। এর আগে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা ইসরায়েলি সেনাদের একটি পাহাড়ের উপর ট্রাক থেকে নামতে দেখেন। সেনারা উপর থেকে বিস্তীর্ণ ওই শিবিরের মধ্যভাগের দিকে দেখছিলেন। এমন সময় শিবিরে অবস্থানরত যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, বন্দুকযুদ্ধ চলার একপর্যায়ে তাদের বাহিনী একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে। ওই বাড়িতে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী অন্য যোদ্ধাদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন। ওই ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী কাঁধ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ছয় ফিলিস্তিনি নিহত এবং কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন। তিনজন হালকা ধরনের আঘাত পেয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে নিহত বন্দুকধারীদের একজনের নাম আবদেল ফাত্তাহ খারুসা। ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাসের সদস্য তিনি। ইসরায়েলের দাবি, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ফিলিস্তিনের হুওয়ারা গ্রামের কাছে একটি নিরাপত্তাচৌকিতে একটি গাড়িতে বসে থাকা দুই ইসরায়েলিকে খারুসা গুলি করেছিলেন।

ইসরায়েলি বাহিনী আরো বলেছে, নাবলুস শহরে এক অভিযানে খারুসার দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাবলুসকে জঙ্গি তৎপরতার আরেকটি কেন্দ্র বলে উল্লেখ করেছে তারা।
হামাস ও ইসলামিক জিহাদের বিবৃতিতে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিদের সবাই জঙ্গি সংগঠন হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও ফাতাহর সদস্য ছিলেন। হামাসের সশস্ত্র শাখার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দখলদারির বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ জোরালো করতে আমরা আমাদের যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের দেশের দখল হয়ে যাওয়া ভূখণ্ডের সর্বত্র এ লড়াই চালাতে হবে।’
হামাস বলেছে, তাদের সদস্য খারুসাই হুওয়ারা গ্রামে ওই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়