সাভারে সাংবাদিকের গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হানা

আগের সংবাদ

তিন কলেজের শিক্ষার্থীর সংঘর্ষ সায়েন্স ল্যাবে : ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণা

পরের সংবাদ

সীতাকুণ্ডের কদমরসুল ও চমেক হাসপাতালে শোকের মাতম

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের আশপাশের এলাকা ও চট্টগ্রাম মেডিকেলে আহাজারি ও শোকের মাতম বইছে। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছিল। নিহত ও আহতদের অধিকাংশই মাথায় ও ঘাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাইরের লোকজন সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। আবারো যে কোনো সময় বিস্ফোরণ হতে পারে এ আশঙ্কায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের দূরে সরে যাওয়ার জন্য বলছিলেন। পরে অবশ্য তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় একটি দোকানে বসেছিলেন সামশুল আলম। হঠাৎ করে একটি উড়ন্ত ভারী লোহার পাত তার মাথা ও ঘাড়ে পড়ে। তাতেই তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়ে যান মাটিতে। স্থানীয় লোকজন ধরাধরি করে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেডিকেলে তার মেজো মেয়ে মরিয়মসহ অন্য আত্মীয়স্বজন আহাজারি করছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে উপস্থিত লোকজনের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, গাউছিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবক, রেড ক্রিসেন্ট, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের লোকজন হতাহতদের উদ্ধার ও তাদের মেডিকেলে নিয়ে আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন চট্টগ্রামের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মেয়র রেজাউল করিম বলেন, দুঃখজনক এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার-স্বজনদের জন্য আমরা গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি হতাহতদের উদ্ধার কার্যক্রমে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সব সেবা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি যাতে এ ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসাসেবাসহ অন্য কোনো সেবায় যাতে ঘাটতি না হয়। আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে এই দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করব।
জানা গেছে, ১৯৯১ সালে কদমরসুল এলাকায় সীমা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড থেকে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক উত্থান। পরবর্তীতে তারা সীমা রি-রোলিং মিল নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এরপরে রোলিং মিলের কাছেই এই অক্সিজেন প্ল্যানটি গড়ে তোলেন তারা। তবে গতকাল কীভাবে বা কোথা থেকে এই বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেননি। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইউসুফ খান জানিয়েছেন, সীমা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম উদ্দিন শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তার ভাই পারভেজ উদ্দিন সান্টু মূলত এই অক্সিজেন প্ল্যান্টটি দেখাশোনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়