কাগজ প্রতিবেদক : পঞ্চগড়ে আহমদিয়া (কাদিয়ানি) স¤প্রদায়ের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি বলেছে, স্বাধীনতাবিরোধী ও ওয়াহাবিপন্থি সালাফিরা এই আক্রমণের ইন্ধনদাতা। এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। গতকাল শনিবার ওয়ার্কার্স পার্টি পলিট ব্যুরোর এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে। বিবৃতিতে আহমদিয়া জামাতের বাৎসরিক জলসায় বর্বরোচিত হামলা, আহমদিয়া স¤প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে আহমদিয়া স¤প্রদায়ের ওপর পরিকল্পিত হামলার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারী শক্তি ও দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
এতে আরো বলা হয়, অতীতের মতো এই বর্বরোচিত আক্রমণ পূর্বপরিকল্পিত। এটা সুস্পষ্ট যে, ‘খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি’র ব্যানারে ওয়াহাবিপন্থি সালাফিরা এই আক্রমণের ইন্ধনদাতা।
তারা বরাবর ধর্মের দোহাই দিয়ে সমাজে সা¤প্রদায়িক সংঘাত বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ সা¤প্রদায়িকতা ও ধর্ম নিয়ে রাজনীতির পরাজয় ঘটিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাত ধরে সেই সা¤প্রদায়িক শক্তির রাজনীতির পুনরুত্থান ঘটেছে। বর্তমান সময়েও তার ক্রমবিস্তৃতি ঘটছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত ও তার মিত্র ধর্মীয় উগ্রবাদীরা এখন প্রকাশ্যে ‘ব্লাসফেমি আইন’ প্রণয়নের দাবি ও ‘আহমদিয়া’ এর অমুসলিম ঘোষণার দাবি করছে। এ কারণেই পঞ্চগড়ে আহমদিয়া জামাতের ওপর হত্যা হামলা হলো।
ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় সা¤প্রদায়িক হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। বিভিন্ন ধর্মসভা ও ইউটিউবে ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রচার করা হচ্ছে তারই ফলশ্রæতি এই সা¤প্রদায়িক সহিংসতা। ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি। যার যার ধর্ম পালনের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংবিধান সরকারকে দিয়েছে। কিন্তু সরকার এক্ষেত্রে সা¤প্রদায়িকতার আস্ফালন রোধে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে সা¤প্রদায়িক সহিংসতার হোতারা বরাবরই রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। সা¤প্রদায়িক সহিংসতা রোধে প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা রহস্যজনক। এর নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো।