উপাচার্য ড. মশিউর রহমান : সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে অপসংস্কৃতি রুখতে হবে

আগের সংবাদ

সংস্কারের বিরূপ প্রভাব বাজারে : আইএমএফের শর্ত মেনে গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

পরের সংবাদ

নাব্য সংকটে সোমেশ্বরী নদী, চাষাবাদ ও নৌচলাচল ব্যাহত : মধ্যনগর

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) থেকে ফিরে : হাওড়ের রাজধানী খ্যাত মধ্যনগর উপজেলার প্রধান নদী সোমেশ্বরী নাব্য সংকটে এখন মরা নদীতে পরিণত হতে চলেছে। নদীর বুকে জেগে উঠছে অসংখ্য চর। ফলে ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল, বিঘিœত হচ্ছে হাওড়ের চাষাবাদ। এ অবস্থায় দ্রুত খননের মাধ্যমে নদীটি বাঁচানোর দাবি জানিয়েছেন মধ্যনগরবাসী।
উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রাসেল মিয়া জানান, হাওরবাসীর সারা বছর উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এ সোমেশ্বরী নদী। বর্তমানে নদীর অনেক স্থান প্রায় শুকিয়ে গেছে। এছাড়া এর শাখা নদী উবদাখালি ও মনাইয়ের অবস্থাও করুণ। নদীর নাব্য সংকটের কারণে নৌযান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। এছাড়া নদী থেকে পর্যাপ্ত পানি না পেয়ে জমিতে সেচ দিতে পারছেন না কৃষকরা ফলে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ।
মধ্যনগর ইউনিয়নের কৃষক জমির হোসেন বলেন, সোমেশ্বরীতে এখন আর আগের মতো পানি নেই। নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে আমরা ঠিকমতো জমিতে সেচ দিতে পারি না। এতে চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই নদীটি দ্রুত খনন করা প্রয়োজন।
ইঞ্জিনচালিত নৌকার মাঝি কালা মিয়া বলেন, সোমেশ্বরী নদীতে পানি কমে যাওয়ার কারণে নৌযান চলাচল চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। নদীর বিভিন্ন অংশে চর জেগেছে। কখন কোন জায়গায় নৌকা নিয়ে আটকা পড়তে হবে তার কোনো ঠিক নেই। দ্রুত নদীটি খনন করা না হলে আমরা নৌকা দিয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারব না।
মধ্যনগর আড়ৎ কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহিরুল হক বলেন, নদীটি দিন দিন ভরাট হয়ে যাওয়ায় হাওড়ের রাজধানী খ্যাত আমাদের মধ্যনগরের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। দ্রুত নদীটি খনন করতে আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান ভোরের কাগজকে বলেন, মধ্যনগর উপজেলার নদীগুলো দিন দিন নাব্য হারিয়ে ফেলছে। এগুলো খনন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। নদীগুলো দ্রুত খননের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি পাঠাব।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার ভোরের কাগজকে জানান, জেলার ১৪টি নদী খননের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হওয়ার পরই সোমেশ্বরীসহ এর শাখা নদীগুলোর খননকাজ শুরু করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়