মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরনের দুর্নীতি : দুদককে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে ৪ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক রিট শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন। এ সময় রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট সারোয়ার আহমেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
‘কিরনের কেরামতিতে বেহাল গাজীপুর সিটি করপোরেশন’ শিরোনামে গত বছরের ২১ আগস্ট একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের কেরামতিতে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লাগামহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম করে সাধারণ কাউন্সিলর হয়ে রাতারাতি হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যাওয়া, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, লুটপাট, দ্বৈত নাগরিকত্ব, কমিশন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগে ক্ষুব্ধ নগরবাসী। ভারপ্রাপ্ত মেয়রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে গাজীপুরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ও জিল্লুর রহমান ভারপ্রাপ্ত মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে রিট দায়ের করেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন আসাদুর রহমান কিরন। এই করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র অধ্যাপক মান্নান ২০১৩ সালে সাময়িক বরখাস্ত হলে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে প্যানেল মেয়র এবং ভারপ্রাপ্ত মেয়র নির্বাচিত হন কিরন। ভারপ্রাপ্ত মেয়র নির্বাচিত হয়ে কিরন গাজীপুরের টঙ্গীতে ৩টি এবং ভালুকায় ২০০ বিঘা জমিতে ১টি শিল্প কারখানা গড়ে তোলেন এবং টঙ্গী, উত্তরায় অসংখ্য জমি, ফ্লাটে বিনিয়োগ করেন।
দায়িত্বকালীন সময়ে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন শিল্প কারখানার হোল্ডিং ট্যাক্স জালিয়াতি করা এবং ঠিকাদারদের থেকে কমিশন বাণিজ্য করে কয়েকশ কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিরন এবং তার স্ত্রীর নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ৩টি বিলাসবহল বাড়ি রয়েছে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক।
২০২১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির দায়ে সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বরখাস্ত হন। তখন আবার বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে কিরণ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পান বলে অভিযোগ রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়