মহাখালীতে অভিযান : তিন রেস্টুরেন্টকে তিন লাখ টাকা জরিমানা

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে সম্ভাবনার হাতছানি : সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় সংকট দেখা দিলেও ইউরোপে সম্ভাবনার হাতছানি

পরের সংবাদ

অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ছাড়া টাকা উত্তোলন : কালীগঞ্জের ইউএনওসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ছাড়া সরকারি মাহাতাব উদ্দিন কলেজের একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের অভিযোগে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন সরকারি মাহাতাব উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান। পরে আদালত মামলাটি দুর্র্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহকে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আগামী ২০ মার্চ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনোজ কান্তি বিশ্বাস, প্রধান হিসাবরক্ষক রজব আলী, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক এ বি এম আহসানুল কবির, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় গুলশান এভিনিউ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেম উদ্দিন, প্রধান কার্যালয়ের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতার হোসেন ও খুলনা জোনের জোনাল হেড সাইদুর রহমান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড কালীগঞ্জ শাখায় সরকারি মাহাতাব উদ্দিন কলেজের চলতি হিসাব নম্বর ৫৮৫৮ এবং ৬১২৭ থেকে চেকের মাধ্যমে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ব্যতীত ৬ লাখ ৮০ হাজার ২১ টাকা উত্তোলন করেন ওই ৭ জন। যেটি পরবর্তীতে অধ্যক্ষের মোবাইল নম্বরে আসা এসএমএস পেয়ে ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন অধ্যক্ষ। এবং পুনরায় একাউন্টে থাকা টাকা তুলে আত্মসাৎ করতে পারেন তারা। এজন্য সঠিক কারণ নির্ধারণ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা বাদীর নালিশী দরখাস্তের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা মতে জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এবং ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে উপপরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহকে নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার বাদী অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান জানান, কি কারণে এবং কেন আমার স্বাক্ষর ছাড়া অর্থ উত্তোলন করা হলো সেটি তিনি জানেন না। অভিযুক্তরা নিজেদের যোগসাজশে এমনটি করেছে। আমার স্বাক্ষর ছাড়া ব্যাংক একাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করতে হলে অবশ্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ লাগবে। যেটা অভিযুক্তদের কাছে নেই।
এ বিষয়ে কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনোজ কান্তি জানান, অত্র কলেজের অনার্স ১ম ও ২য় বর্ষের ছাত্রদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র ফিস সোনালি সেবা প্রদানের জন্য কলেজের ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে জমা প্রদানও করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, কলেজের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানের নামের কোনো ব্যাংক একাউন্ট থেকে তারা টাকা উত্তোলন করেননি। অভিযোগকারী মাহবুবুর রহমান প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে মনগড়া টাকা আত্মসাৎ এর মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান ভোরের কাগজকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের অনুমতিতেই কলেজের অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। এই টাকা ছাত্রদের পরীক্ষার ফিস বাবদ ব্যাংকের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদান করা হয়েছে। টাকা আত্মসাতের কোনো প্রশ্নই উঠে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়