জাতীয় প্রেস ক্লাবের কর্মশালা : শিশুদের আবৃত্তি শিক্ষায় মাতৃভাষাকে ভালোবাসার আহ্বান

আগের সংবাদ

সরেনি একটি কেমিক্যাল কারখানাও : অন্য ব্যবসার আড়ালে চলছে রমরমা বাণিজ্য > বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ৫০৮টি কেমিক্যাল কারখানা

পরের সংবাদ

দেশি পোশাকে একুশ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পোশাকে ফুটে ওঠে মানুষের রুচি আর মনের সৌন্দর্য। আর কদিন পরেই একুশে ফেব্রুয়ারি। অনেকেই সেদিন পরতে পছন্দ করেন একুশের চেতনার সাথে মিল রেখে মনের মতো পোশাক। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো বাজারে এনেছে বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের পোশাক। আগে হৃদয়ে এবং পরে পোশাকে ফুটে উঠুক এই প্রেম।
সাদিকুর রহমান সাকিব

শোক যে হতে পারে এক অনন্য শক্তি তার উদাহরণ তৈরি করে গেছেন আমাদের পূর্ব পুরুষেরা। ভাই হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে আমরা বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে পেয়েছি। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখে বাংলাকে মাতৃভাষা করার দাবিতে রাজপথে নেমেছিল এ দেশের তরুণেরা। আর তার পরের ইতিহাস আজও জ্বলজ্বল করছে পৃথিবীর বুকে। মাতৃভাষার জন্য জীবন দেয়ার এই অনন্য ইতিহাসকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই গৌরবের অংশীদার বাংলা ভাষাভাষী সব মানুষ। তাইতো একুশের প্রতি শ্রদ্ধা আমরা লালন করি হৃদয়ে। একুশের চেতনা সঙ্গী আমাদের প্রতিদিনের প্রতিটি পদক্ষেপে। হৃদয়ের গভীর থেকে পোশাকের ক্যানভাসে উঠে এসেছে একুশ।

প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ নিয়ে আসে নতুন পোশাক। আর সেসব পোশাকের রং হয় সাদা-কালো। কখনো কখনো অল্প লাল যোগ হতে পারে তাতে। সাদা-কালো মানেই আলাদা গাম্ভীর্য। শোক আর শক্তির সমন্বয়ে জ্বলে ওঠা। এদেশের মানুষের হৃদয়ে একুশের চেতনা যেন সদা প্রজ্জ্বলিত থাকে, তার ক্ষুদ্র প্রয়াস বলা চলে পোশাকে একুশের এই আয়োজনকে। শাড়ি কিংবা পাঞ্জাবি, কুর্তি-কামিজ কিংবা টি-শার্টে ফুটে ওঠে একুশের নানা নকশা। কখনো শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি, কখনো বর্ণমালা, কখনো প্রভাতফেরী, কখনো দেশের কবিতা। একেকটি পোশাকই যেন হয়ে ওঠে এক টুকরো ইতিহাস।
একটা সময় একুশে ফেব্রুয়ারি মানে প্রভাতফেরীতে গিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া বোঝাতো। সময়ে পরিবর্তনে তা ধীরে ধীরে আরও বিস্তৃতি লাভ করেছে। এখন একুশ আরও বেশি শক্তির নাম। আরও বেশি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়া একটি দিন। যে দিনটি আমাদের আত্মত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। এমন গৌরবময় ইতিহাস আমাদের চলনে-বলনে ছড়িয়ে দিতেই ধীরে ধীরে উঠে এসেছে বসনেও। সাদা-কালো পোশাক, খালি পা- আমাদের আত্মত্যাগী অগ্রজদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এটুকু আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সবকিছুরই থাকে আলাদা ভাষা, আলাদা রং। আমাদের কাছে শোকের রং কালো আর সাদা হলো শান্তির। এই দুই রং মিলেমিশে আরও বেশি স্নিগ্ধ হয়ে ওঠে। মেয়েরা সাদা-কালো শাড়িতে, ছেলেরা পাঞ্জবিতে এদিন একুশের স্মৃতি বসনে নিয়ে আসেন। আবার যেসব নারী শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য নন, তাদের জন্য রয়েছে কামিজ ও কুর্তি। পোশাক নামক ক্যানভাসে মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ফুটিয়ে তুলতে নিরলস কাজ করেন এ দেশের ফ্যাশন ডিজাইনাররা। মোটিফের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বাংলা বর্ণমালাকে। বৈচিত্র্য দেখা গেছে ছেলেদের পাঞ্জাবিতেও। তবে শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যই নয়, শিশুদের জন্যও রয়েছে একুশের নানা আয়োজন।
সবার জন্য পোশাক
ফ্যাশন হাউসগুলোতে মেয়েদের জন্য রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি; ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট। শাল বা চাদর, স্কার্ফ, ব্যান্ডানাও পছন্দ করেন কেউ কেউ। সাধারণ একটি লাল পেড়ে সবুজ শাড়িতেই হতে পারে মনের গহিনে থাকা অসাধারণ আবেগের বহিঃপ্রকাশ। অনেক মেয়ে আজকাল কটি বা শ্রাগ পরতে পছন্দ করেন। সবুজ কামিজের সঙ্গে এমন কোনো অনুষঙ্গ পরা যেতে পারে, যাঁর রংটা টকটকে লাল। আবার লাল জামার সঙ্গে সবুজ অনুষঙ্গের সমন্বয়ও করতে পারেন। শিশুদের জন্যও নিতে পারেন বাহারি জামা, পাঞ্জাবি বা টি-শার্ট।

মাতৃভাষা দিবসে অঞ্জন’স
কালো, সাদা, লাল এই তিন রঙ প্রাধান্য দিয়ে এবারের আয়োজন সাজানো হয়েছে। সব বয়সীদের জন্য পোশাক করা হয়েছে এবারের আয়োজনে। ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, মেয়েদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার কামিজ ও শিশু কিশোরদের জন্য পাঞ্জাবি ও ফ্রক করা হয়েছে এবারের মাতৃভাষা দিবসের বিশেষ আয়োজনে। পোশাকগুলো অঞ্জন’স এর সকল শোরুম ও অঞ্জন’স অনলাইন ষ্টোর (িি.িধহলধহং.পড়স) এ পাওয়া যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়