ভালোবাসার
আবেদন যেমন সর্বজনীন, তেমনি ভালোবাসার আবেদন নিয়ে নির্মিত ছবিগুলোও দেশে দেশে পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। মেলার পাঠকদের জন্য থাকছে হলিউডের ১০টি দর্শকনন্দিত রোমান্টিক ছবির খোঁজ

‘কাসাব্লাঙ্কা’
মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন হ্যামফ্রে বোগার্ট এবং ইনগ্রিড বার্গম্যান। মানুষ বারেবারে ভালোবাসা খুঁজে বেড়ায় বিভিন্ন জনে। একসময় সত্যিকার প্রেম এসে ধরা দেয়। অনবদ্য এক প্রেমের ছবি কাসাব্লাঙ্কা। ছবিটি ড্রামা, রোমান্স এবং সাসপেন্স এসব উপাদানের সমন্বয়ে পরিপূর্ণ একটি ক্লাসিক বিউটি। ১৯৪২ সালে নির্মিত হয়েছে কাসাব্লাঙ্কা ছবিটি।

‘গন উইথ দ্য উইন্ড’
মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্লার্ক গেবল এবং ভিভিয়েন লেই। প্রকাশহীনতায় প্রেম গাঢ় হয়ে ওঠে। প্রেমের সহজাত এ অনুভূতির খুব সুন্দর রূপায়ন ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’। ১৯৩৯ সালে নির্মিত হয় ছবিটি।

‘নটিংহিল’
মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুলিয়া রবার্ট এবং হিউ গ্র্যান্ট। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আকর্ষণীয় সুন্দরী অভিনেত্রী আনা স্কট যিনি প্রেমে পড়েন একটা বুক শপের মালিক উইলিয়াম থ্যাকারের। দুটি ভিন্ন স্ট্যাটাসের দুটি মানুষের মানসিক টানাপড়েন এখানে দেখানো হয়েছে। অসম্ভব সুন্দর ডায়ালগ সমৃদ্ধ এ ছবিটি। শেষ দৃশ্যে আনা স্কটের প্রেস কনফারেন্সটি উত্তেজনা ভরপুর ভীষণ সুন্দর একটি মুহূর্ত। নিরেট ভালোবাসার ছবি নটিংহিল।
‘দ্য নোটবুক’
মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন রায়ান গসলিং, র‌্যাচেল ম্যাকঅ্যাডাম্স। অ্যালি এবং নোয়াহ্ নামক দুই প্রেমিক জুটির চিরাচরিত ধনী-গরিব দ্ব›দ্ব এখানে গল্পাকারে নির্মিত হয়েছে। পরিবারের চাপে পড়ে অ্যালি’র অন্য জায়গায় বাগদান হয় তারপরও প্রথম প্রেমের হাতছানি অ্যালিকে তার স্বপ্ন পূরণে মরিয়া করে তোলে। অপূর্ব এই প্রেমের ছবিটি ২০০৪ সালে নির্মিত হয়।

‘এ অফিসার এন্ড এ জেন্টেলম্যান’
মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিচার্ড গিয়ার এবং ডেব্রা উইঙ্গার। নেভি রিক্রুট জীবনের ভালোবাসার বিভিন্ন প্রবাহ এখানে চিত্রায়িত হয়েছে। শক্তিশালী গল্প এবং সফল চরিত্রায়নের জন্য ছবিটি বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। সেই সঙ্গে এটিকে শ্রেষ্ঠ প্রেমের ছবি হিসেবে গণ্য করা হয়। ‘এ অফিসার এন্ড এ জেন্টেলম্যান’ ছবিটি ১৯৮২ সালে নির্মিত।

‘এন অ্যাফেয়ার টু রিমেমবার’
মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্যারি গ্র্যান্ট এবং ডেবরা কের। হ্যান্ডসাম প্লেবয় চরিত্রের নিকি একজন চিত্রশিল্পী এবং নাইটক্লাব সিঙ্গার টেরি, দুজনের পরিচয় ঘটে ইউরোপ থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে। অন্যের সঙ্গে বাগদান থাকা সত্ত্বেও এই দুজন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে দুজন দেখা করবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু ঘটতে থাকে অন্যরকম কিছু। ১৯৫৭ সালে নির্মিত ছবিটি মন ছুঁয়ে যাওয়া এক প্রেমের ছবি।

‘টাইটানিক’
মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেট। নর্থ আটলান্টিক সমুদ্রের বুকে সৃষ্টি একটি মানবিক প্রেম এবং তার করুণ সমাপ্তি নিয়ে তৈরি টাইটানিক ছবিটি। ১৯৯৭ সালে নির্মিত একটি ট্র্যাজেডিক প্রেম কাহিনী টাইটানিক। বিপুল জনপ্রিয়তার সঙ্গে এই ছবিটি অস্কার জয় করে।

‘প্রিটি ওম্যান’
মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিচার্ড গিয়ার এবং জুলিয়া রবার্ট। ভালোবাসা যে কোনো সময় মনের কোণে এসে উঁকি দিতে পারে। প্রিটি ওম্যান ছবিতে এক সম্পদশালী পুরুষের কাছে তাই প্রেম হয়ে এসেছিল বন্ধনহীন প্রেমহীন এক নিশীথচারিনী। ১৯৯০ সালে নির্মিত ভীষণ সাবলীল সুন্দর এক প্রেমের ছবি প্রিটি ওম্যান।

‘রোমিও জুলিয়েট’
বিশ্ববিখ্যাত লেখক উইলিয়াম সেক্সপিয়ারের কালজয়ী ট্র্যাজেডি গল্প অবলম্বনে ১৯৯৬ সালে নির্মিত হয় রোমিও জুলিয়েট। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং ক্লেয়ার ডেনিস। এর আগেও অনেকবার এই প্রেমকাহিনী নিয়ে ছবি নির্মিত হয়েছে। দুটি ভিন্ন পরিবারের পূর্ববর্তী রেষারেষি এবং আভিজাত্যের অহংকারকে পেছনে ফেলে দুজন মানুষ প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে যায়। নানা রকম টানাপড়েনের পর তাদের বিয়ে হয় এবং তথ্যগত ভুলের কারণে জীবনে একসময় নেমে আসে প্রেম উপাখ্যানের ট্র্যাজেডি।

‘দ্য আফ্রিকান কুইন’
মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্যাথরিন হেপবার্ন এবং হ্যামফ্রে বোগার্ট। একটা পুরুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অ্যাডভেঞ্চার হলো নারী। ভিন্ন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন দুটি মানুষের যুদ্ধকালীন সময়ে প্রেমে পড়ার অনবদ্য কাহিনী নিয়ে ১৯৫১ সালে নির্মিত দ্য আফ্রিকান কুইন ছবিটি। ভীষণ সুন্দর প্রেমের ছবি।

:: মেলা ডেস্ক