চট্টগ্রামে ফয়েস লেক বেসক্যাম্প উদ্বোধন

আগের সংবাদ

কাটবে যেসব সংকট : আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ

পরের সংবাদ

৩৫তম জাতীয় কবিতা উৎসব ১ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে ৩৫তম জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন। এ বছর জাতীয় কবিতা উৎসবের মর্মবাণী ‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ঘিরেই থাকবে এবারের নানা আয়োজন। উৎসবে দেশি-বিদেশি প্রায় ১০ হাজার কবিতাপ্রেমীর সমাগম ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সারাদেশ থেকে ৩০০ কবি কবিতা পাঠের জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন।
গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২৩ এর উদ্বোধন করবেন কবি আসাদ চৌধুরী। ২০২০ সালে ৩৪তম জাতীয় কবিতা উৎসবে ঘোষিত জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার-২০২১ কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদার হাতে তুলে দেয়া হবে উৎসবের দ্বিতীয় দিন (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায়। সেদিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ এর নাম ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ৩৫তম কবিতা উৎসবের আহ্বায়ক শিহাব সরকার, সাংগঠনিক উপপরিষদের আহ্বায়ক কবি দিলারা হাফিজ, পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কবি আসলাম সানী, আমিনুর রহমান সুলতান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে তারিক সুজাত আরো বলেন, বাংলাদেশের কবিরা চিরকালই প্রগতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বিগত ৩৪টি আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার সংগ্রামী কবিরা এই উৎসবে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নির্যাতিত মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। এই উৎসবকে আমরা কবিতার মিলনমেলায় পরিণত করতে পেরেছি।
দুই দিনব্যাপী উৎসবে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আয়োজন জমে উঠবে। এ বছরের উৎসব স্লোগান ও উৎসব সংগীত রচনা করেছেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ। ঘোষণাপত্র লিখেছেন কবি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, জাতীয় কবিতা পরিষদ সামরিক বাধা বিপত্তি আর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ৮৭ সালে কবিতা উৎসবের আয়োজন করেছিল। সে আয়োজন আজ দলমত নির্বিশেষে ধর্ম নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে সার্বজনীন উৎসবের রূপ পেয়েছে। এর নেপথ্যে সেইসময় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা সহায়তা করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, জাতীয় কবিতা উৎসব কবিতার বৃহত্তম এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এক অনন্য উৎসব, যা ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেছে। সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার কবিতানুরাগী ও শ্রোতার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই উৎসব যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তার নজির পৃথিবীতে বিরল। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে কবিতা উৎসবের শুরু ১৯৮৭ সালে, কালের পরিক্রমায় এই উৎসব সাড়ে তিন দশক অতিক্রম করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়