চট্টগ্রামে ফয়েস লেক বেসক্যাম্প উদ্বোধন

আগের সংবাদ

কাটবে যেসব সংকট : আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ

পরের সংবাদ

বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর : হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র থেকে অবাধে বালু উত্তোলন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চরে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানানো হলেও প্রশাসন তা আমলে নিচ্ছে না। বালু উত্তোলনে মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তা প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে একদিকে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন হয়ে ফসলিজমি নদে গর্ভে বিলীন হলেও তা বন্ধ না হওয়ায় এলাকাবাসী প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতাকেই দায়ী করে আসছেন।
বিগত বছর ২০ নভেম্বর সাহেবের চর গ্রামের আ. রাশিদ এর ছেলে মো. রসুল মিয়া এলাকাবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনের একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র এই প্রতিবেদকের কাছে এসেছে। তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন এখানে কোনো বালু মহল নেই। তারপরও দীর্ঘদিন যাবত সাহেবের চর গ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অসাধু ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করে এলাকার ব্যাপক ক্ষতি সাধন আসছে। এ গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় গ্রামের বাম তীর রক্ষার জন্য একটি প্রকল্প রয়েছে। এখান থেকে বালু উত্তোলন করলে বাঁধের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা আছে। এমতাবস্থায় গ্রামটি রক্ষা করতে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান তিনি। সরজমিন গিয়ে জানা যায়, সাহেবের চর গ্রামের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের পর রতন সরকারের বাড়ির পাশে স্তূপ করে সেখান থেকে ট্রাক দিয়ে বালু নেয়া হচ্ছে। ট্রাক চালক জানায় স্থানীয় রুবেল মেম্বার এ বালুর মালিক। এ সময় আরো অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় মামুন ও রুবেল মিয়া প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাশোহারা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বালু উত্তোলনের পর তা বিক্রি করে আসছেন। মামুন ওই এরাকার জসিম উদ্দিনের ও রুবেল আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে বলে জানা যায়। বালু উত্তোলনে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার বালু উত্তোলনের ড্রেজার জব্দ করেছি। এলাকাটি দুর্গম চরাঞ্চল ও ময়মনসিংহের গফরগাঁও অংশের কাছে হওয়ায় বালু উত্তোলন পুরাপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না।
হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া পারভেজ জানান, বালু উত্তোলনের জায়গাটি কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গেলে আমরা পৌঁছার আগেই ড্রেজার নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়