চট্টগ্রামে ফয়েস লেক বেসক্যাম্প উদ্বোধন

আগের সংবাদ

কাটবে যেসব সংকট : আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ

পরের সংবাদ

জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর মতবিনিময় : রাজশাহীতে আ.লীগের জনসভা ছিল বিএনপির ১৪ গুণ বড়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজশাহীতে একটা অসাধারণ সভা হয়েছে। পুরো রাজশাহী শহরই জনসভাস্থলে পরিণত হয়েছিল। মাদরাসা মাঠের বাইরে আরো ১০-১২ গুণ মানুষ ছিল। বিএনপিও সেখানে সমাবেশ করেছিল। তাদের সমাবেশের চেয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ ১২ থেকে ১৪ গুণ বড় ছিল। আকাশ থেকে প্রধানমন্ত্রীও সমাবেশটি দেখেছেন। আমাদের ধারণার বাইরে সমাবেশটি হয়েছে। পুরো শহরজুড়ে মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা, সমাবেশে যাওয়ার জন্য আগ্রহ আমি দেখেছি শুরু থেকে, সেটি অভাবনীয়। এতেই প্রমাণ হয়, প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে।
সচিবালয়ে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত কমিটির পক্ষে নেতৃত্ব দেন। শুরুতেই তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে

ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটি। তথ্যমন্ত্রী কমিটির সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি হাসান হাফিজ, সহসভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুইয়া, আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ সাহেদ চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে ফরিদ হোসেন, কাজী রওনক হোসেন, শাহানাজ সিদ্দিকী সোমা, কল্যাণ সাহা, জুলহাস হোসেন, শাহানাজ বেগম পলি, মোমিন হোসেন ও সীমান্ত খোকন।
সভার শুরুতেই তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কমিটির সবাইকে পরিচয় করিয়ে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এরপর তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের আলোকে আমরা একটা স্মার্ট প্রেস ক্লাব গড়তে চাই। এজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে সহযোগী হিসেবে পাশে চাই। গণমাধ্যমের বিকাশের জায়গাটিকে আমরা আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। মুক্ত গণমাধ্যম চর্চায় ইদানীং আমরা যে একটি অবাধ পরিবেশ দেখতে পাচ্ছি। সেটা আরো অব্যাহত রাখতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে পাশে পাবো বলে আশা করছি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মেট্রোরেলের স্টেশনটি জাতীয় প্রেস ক্লাবের নামে করার দাবি তুলে শ্যামল দত্ত বলেন, আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেখতে পাচ্ছি সচিবালয় স্টেশন নামে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও অন্য নেতারা কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন দেখার জন্য। এ ব্যাপারে আমরা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে এটি জাতীয় প্রেস ক্লাবের নামে করা হয়। জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্টেশনের নামকরণের কোনোটিরই গেজেট এখনো হয়নি। প্র্যাকটিকেলি যখন এগুলো শুরু হবে, তখন নামকরণ চূড়ান্ত হবে। এখন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেখা গেলেও, সেটা আগের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এটা নিয়ে আমার কথা হয়েছে। আশা করি, নামকরণে সমস্যা হবে না। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও আমি কথা বলব।
এ সময় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশের সুবিধার্থে ক্লাবের পাশের গেটটি যাতে ব্যবহার করা যায়, সেজন্য তথ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের জন্য জায়গা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের জাতীয় প্রেস ক্লাবের অবয়ব পার্শ্ববর্তী কলকাতা ও দিল্লী প্রেস ক্লাবের থেকেও অনেক উন্নত। ভারতের সাংবাদিকরা ঢাকায় এসেও এই কথাটা স্বীকার করেন।
২১ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার আমি কথা বলেছি। হয়তো ভেটিং হয়ে গেছে। এটি দ্রুত হওয়ার জন্য যা সহযোগিতা দরকার আমরা করব।
এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও মানুষকে ভোট, ভাতের অধিকার ও ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুলকে সবিনয়ে অনুরোধ জানাবো, আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখুন, আপনার দলেরও চেহারাটাও দেখুন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর, ইনডেমনিটি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার কারা বন্ধ করেছিল? আর ভোটের অধিকার? জিয়াউর রহমানের সময় সাত্তার সাহেবের সময়, খালেদা জিয়ার সময়, এরশাদ সাহেবের সময় শ্লোগান ছিল- ১০টা হোন্ডা, ২০টি গুন্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা। এখন মানুষ সেই শ্লোগান দেয় না। ১৯৯৬ সালের সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন বিএনপিই করেছিল। তারা এক মাসের বেশি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখলেই উনি (মির্জা ফখরুল) উত্তরটা পেয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান যুক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করে তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনাবাহিনীর অফিসারকে বিনা বিচারে ফাঁসি দিয়েছেন। অনেকের রায় হয়েছে ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর- এমন ঘটনাও আছে। মায়ের কান্না নামের একটি সংগঠন, তাদের বোবা কান্না যে আজকে আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে, সেটি এখন বিদেশি কূটনীতিকদের কানেও গেছে। এগুলো সব জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের শিকার। বিএনপির নেতারা ন্যায়নীতির কথা বলেন। অথচ ২০১৩-১৪-১৫ সালে মানুষের ওপরে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করেছেন। সেই পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের হুকুমদাতা বিএনপি নেতারা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সেই হুকুমদাতাদের মধ্যে একজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়