উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি

আগের সংবাদ

গৃহায়ণ ও রাজউকের ১১ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে

পরের সংবাদ

শাল্লায় মানববন্ধন : বাঁধের অর্ধশতাধিক গাছ কাটার প্রতিবাদ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : শাল্লায় হবিবপুর ইউপির আনন্দপুর বড় খালের বাঁধ থেকে অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধের মেরামত কাজ করায় ২২ নং পিআইসি কমিটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল রবিবার দুপুর ১২টায় এলাকাবাসীর আয়োজনে আনন্দপুর বড় খালের ২২ নং পিআইসির বাঁধে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও আব্দুল আজিজ মিয়া তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক ২ নং ওয়ার্ড সদস্য কালাই মিয়া তালুকদার। আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গরমোহন রায়, মৃৎশিল্পী অরবিন্দু পাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিহির কান্তি রায়, কৃষক সুশীল শীল, রবীন্দ্র বিশ্বাস, অমর চাঁদ দাশ, বাবুল দাশ, অঞ্জন দাশ, বকুল দাশ ও কলেজ শিক্ষার্থী জুয়েল রায় প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগ ২০১১ সালে এই বাঁধে দিরাই-শাল্লা রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি ফেলেছিল। দীর্ঘ একযুগ ধরে এই বাঁধটি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। বাঁধের পূর্বপ্রান্তে সারিবদ্ধভাবে অর্ধশত মেন্ডাসহ (পিটুলি গাছ) ফলন্ত বড় গাছ ও লিচুগাছ ছিল। কিন্তু ২২ নং পিআইসি কমিটির লোকজন এসব গাছ কেটে ফেলেছে।
বাঁধের উপরে অবস্থিত গাছগুলো কেটে ফেলায় বাঁধটিকে ভবিষ্যতে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে ওই পিআইসি কমিটি। বক্তারা আরো বলেন, বাঁধের আরো ক্ষতি করেছে বাঁধের দুপাশের মধ্যভাগে বাঁশের আড়ি দিয়ে। বাঁশের গোড়া পচে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হবে। এই বাঁধের গোড়ায় সামান্য ভাঙার সৃষ্টি হলে কোটি টাকা দিয়েও বাঁধ রক্ষা করা যাবে না। এখন বাঁধে যেভাবে কাজ করা হচ্ছে তা খাল কেটে কুমির ডেকে আনার মতো। এই বাঁধে পিআইসি কমিটি সামান্য মাটি ফেলে দায়সারাভাবে নি¤œমানের কাজ করে মোটা অঙ্কের অর্থ লাভ করতে চাইছে। প্রকৃতপক্ষে ওই বাঁধে কোনো প্রকল্পেরই দরকার ছিল না। তবুও এখানে ফসল রক্ষার নামে বাঁধ মেরামতের জন্য প্রকল্প দেয়া হয়েছে ২০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। অথচ মাদারিয়া ব্রিজের উত্তর অংশসহ মাটির কাজ করা হয়েছে মাত্র ২ থেকে ৩ লাখ টাকার।
বাঁধের উপরে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলায় ও নি¤œমানের কাজ করে অক্ষত বাঁধের ক্ষতি করায় ২২ নং পিআইসি কমিটির বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ও উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বাঁধে আবারো গাছ লাগানো হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, বাঁধের সব গাছ কেটে থাকলে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়