কাগজ ডেস্ক : আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ না দিতে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
কাবুলসহ আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোয় ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা। চিঠিতে বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান নির্দেশ মানবে না, তাদের আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ক্ষমতা দখলের পর আফগান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নারীদের জন্য পৃথক শ্রেণিকক্ষ ও প্রবেশপথ চালু করেছিল তালেবান। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের শুধু নারী শিক্ষক বা বয়স্ক পুরুষ শিক্ষক পড়াতে পারতেন। গত ডিসেম্বরে আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীদের যেন পাঠদান না করা হয়। এর কয়েক দিন পর বেশির ভাগ নারী এনজিওকর্মীর কাজ করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এছাড়া অধিকাংশ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ও বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান।
আফগানিস্তানে নারীদের কাজ করা ও পড়াশোনার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা নিয়ে তালেবান সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। পশ্চিমা কূটনীতিকেরা বলেছেন, তালেবান সরকার আন্তর্জাতিকভাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে চাইলে তাদের অবশ্যই নারীবিষয়ক নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে আফগানিস্তান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আছে। এতে ব্যাংক খাতের ওপর প্রভাব পড়ছে। উন্নয়ন তহবিল পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো বলেছে, লাখো মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।