উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি

আগের সংবাদ

গৃহায়ণ ও রাজউকের ১১ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে

পরের সংবাদ

দাদির ইচ্ছাপূরণে পালকিতে প্রবাসীর বরযাত্রা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : বাঙালি সংস্কৃতিতে পালকি একসময়ের খুবই জনপ্রিয় বাহন ছিল। বিয়ে-শাদি বা রাজা-জমিদাররা কোনো জায়গায় গেলে বাহন হিসেবে পালকি ব্যবহার করত। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে পালকি। ডিজিটাল যুগের ছেলেমেয়েদের পালকি দেখিনি অনেকেই।
তাই পালকিতে বিয়ে করতে যাবে শুনে রাস্তার পাশে অধীর আগ্রহে বসে ছিল শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ। পালকিতে বিয়ে করতে গিয়ে এলাকায় রীতিমতো আড়োলন সৃষ্টি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী অনুপ কুমার মণ্ডল।
তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের গণেশ কুমার মণ্ডলের মেজো ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর গ্রামের গণেশ কুমার মণ্ডলের মেজো ছেলে অনুপ কুমার মণ্ডলের সঙ্গে হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামের হিরেন্দ্রনাথ রায়ের বড় মেয়ে মাধবী লতা রায় মীমের বিয়ে ঠিক হয়। পারবারিকভাবে শুক্রবার রাতে তাদের বিয়ে হয়। বাঙালির প্রাচীন সংস্কৃতির পালকিতে বিয়ে করতে গিয়ে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছে এলাকায়।
পালকিতে বর, হেঁটে বরযাত্রী পটকাবাজি, আতশবাজি ও ব্যান্ড দল নিয়ে বাজনা বাজাতে বাজাতে বিয়ে করতে যায় তারা। এ সময় গ্রামের শিশু থেকে শুরু সর্বস্তরের নারী-পুরুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পালকিতে যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করেন। যাওয়ার সময় তারা সাদিপুর থেকে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে সোনাকুড় কনের বাড়িতে যায় এবং শনিবার ফেরার সময় সোনাকুড় দক্ষিণ পাড়ার ও হাজিরবাগের মধ্য দিয়ে সাদিপুর ফিরে আসে। দীর্ঘদিন পরে পালকিতে বিয়ে করতে যাওয়া দেখে এলাকার মানুষ খুবই মজা পেয়েছে। শিশুরা পালকির সঙ্গে সঙ্গে অনেক দূর পর্যন্ত আনন্দ করতে গিয়েছে। গত দুই দিন ধরে পালকির বিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে।
নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ফাহিম ও মাহিম নামের দুই শিশু জানায়, আমরা জীবনেও পালকি দেখিনি। পালকিতে বিয়ে করতে যাওয়া দেখে খুব মজা পেয়েছি।
এ ব্যাপারে বরের বাবা গণেশ কুমার মণ্ডল জানান, আমার বাবা-মায়ের বিয়ে হয়েছিল পালকিতে। তাই আমার মায়ের ইচ্ছা তার যে কোনো পোতা ছেলে পালকিতে বিয়ে করতে যাবে এবং নাতবউ পালকিতে করে আসবে। আমার মায়ের ইচ্ছার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আমার ছেলের বিয়ের যানবাহন হিসেবে পালকি ব্যবহার করেছি।
বর অনুপ কুমার মণ্ডল বলেন, আমার ঠাকুরমার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়েতে পালকি ব্যবহার করা হয়েছে। আমি খুবই আনন্দিত এবং উচ্ছ¡সিত। কারণ ডিজিটাল যুগে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরে আমি এলাকার মানুষকে পালকি দেখাতে পেরেছি। আমি পালকিতে বসে দেখছিলাম ছোট ছোট শিশুরা পালকি দেখে খুবই আনন্দ পাচ্ছিল। প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরে আমার বিয়েতে পালকি আনায় পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়