উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি

আগের সংবাদ

গৃহায়ণ ও রাজউকের ১১ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে

পরের সংবাদ

ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার : মায়ের সঙ্গে ছেলের ফোনালাপে খলু হত্যার রহস্য উন্মোচন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ক্লুলেস ঘটনাটির তদন্তে নেমে কয়েকজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেও কোনো কূলকিনারা পাচ্ছিল না থানা পুলিশ। গত ২৬ জানুয়ারি একটি ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী এলাকার নিজ বাসা থেকে মো. আরিফ (২৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের পর ওই ব্যক্তি তার মায়ের সঙ্গে ফোনালাপে জানায়, অন্য কোনো ঘটনায় নয়, তাকে আগের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার এই বক্তব্যটি সন্দেহজনক হওয়ায় খলু মিয়া (২৮) হত্যামামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এর ভিত্তিতে ৩ দিনের রিমান্ড পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে খুনের বিষয়টি স্বীকার করে আরিফ জানায়, খলু মিয়াকে পথরোধ করে ছিনতাই করার সময় তিনি বাধা দিলে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করে তার মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় সে।
গত ২২ জানুয়ারি ভোরে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের পাশের সড়কে ছুরিকাঘাতে খলু মিয়া খুনের ঘটনায় ছিনতাইকারী আরিফকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। গতকাল রবিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ভুক্তভোগীকে খুনের ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভুক্তভোগী গোলাপবাগ থেকে পায়ে হেঁটে ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওঁত পেতে থাকা অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ভুক্তভোগীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর কাছে প্রাপ্ত জিনিসপত্র ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় জানা যায়, ভুক্তভোগীর নাম খলু মিয়া। তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপসী এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন গাইবান্ধা থেকে সোনালী পরিবহনে করে রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে গোলাপবাগে পৌঁছান। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ছুরিকাঘাতের শিকার হন তিনি। ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ক্লুলেস এ ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েকজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেও কোনো কূলকিনারা করতে পারছিল না থানা পুলিশ। ২৬ জানুয়ারি একটি ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী এলাকার নিজ বাসা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তখন মায়ের সঙ্গে ফোনালাপে এ ব্যক্তি জানায়, অন্য কোনো ঘটনায় নয়, তাকে আগের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরিফের এই বক্তব্যটি সন্দেহজনক হওয়ায় খলু মিয়া হত্যামামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেই বেরিয়ে আসে খলু মিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য। একপর্যায়ে তাকে খুনের দায় স্বীকার করেন আরিফ, পরে তার হেফাজত থেকে খলু মিয়ার খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় আরিফ জানান, একাধিক ছিনতাই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার নিজ বাসায় অবস্থান না করে পলাতক ছিলেন। কিন্তু খুনের ঘটনার পরপর পুলিশি তৎপরতা দেখে হত্যার ঘটনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আগের ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার হতে বাসায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার সময় আরিফ অন্য সহযোগীদের নিয়ে একটি ছুরিসহ ধলপুর নতুন রাস্তায় একটি ব্যাটারির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভুক্তভোগী রাস্তা দিয়ে আসার পথে তারা তার গলায় ছুরি ধরলে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। ঘটনার একপর্যায়ে তারা ভুক্তভোগীর বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তার মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার আরিফ আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার অন্য সহযোগীদের নামঠিকানাও জানিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়