উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি

আগের সংবাদ

গৃহায়ণ ও রাজউকের ১১ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে

পরের সংবাদ

আত্রাই নদীতে নির্মাণ হচ্ছে সেতু : বদলে যাবে মানুষের জীবনযাত্রা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আব্দুল আজিজ মণ্ডল (ধামইরহাট) নওগাঁ থেকে : নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আলমপুর-খেলনা ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি-তালতলি ঘাটে আত্রাই নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। সেতুটি নির্মাণ শেষ হলে দুপারের ৬৪ গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাবে বলে আশা এলাকাবাসীর।
এতদঞ্চলের মানুষকে শত শত বছর ধরে বর্ষায় নৌকা দিয়ে খেয়া পারাপার হতে হয়েছে। জরুরি কাজে মানুষকে নৌকার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। অনেকের গরুর গাড়ি, মহিষের গাড়ি নদীতে ভেসে গেছে। আবার নৌকায় উঠতে গিয়ে ¯্রােতের তোড়ে কত মোটরসাইকেল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
এলাকাবাসী ও ইজারাদার নিজ উদ্যোগে শুকনা মৌসুমে দ্রুত পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করে টোল সংগ্রহপূর্বক যোগাযোগ রক্ষা করছেন। প্রতি বছরই ইজারাদাররা শুকনা মৌসুমে বাঁশ, কাঠ, তার, দড়ি ক্রয় করে অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে থাকেন। বর্ষা এলে সেই বাঁশের সাঁকো বন্যায় ভেসে যায়। বহু কষ্টে এলাকাবাসী নদীর পানিতে সাঁতার কেটে ভাঙা সাঁকো উদ্ধার করে সংরক্ষণ করেন। শুকনা মৌসুম এলে ওই উপকরণ দিয়ে আবার সাঁকো তৈরি করেন। পুনরায় বর্ষা এলে শুরু হয় নৌকায় খেয়া পারাপার। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়, অসুস্থ রোগীদের দূরের হাসপাতালে পৌঁছানো যায় না, প্রশাসন ওই এলাকায় দ্রুত ক্রাইম প্রতিরোধ করতে পারেন না যোগাযোগের অভাবে।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ধামইরহাট-পতœীতলা ৪৭ (২) আসনের এমপির অনুরোধক্রমে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন সেতু নির্মাণের। তা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে এমপি শহীদুজ্জামান সরকার সম্প্রতি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। ব্রিজটি নির্মাণ হলে দুপারের মানুষের ভাগ্য ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটবে। নদীর পশ্চিম ও পূর্ব পারে লক্ষাধিক মানুষের সুবিধার্থে শত বছরের কাক্সিক্ষত দাবি পূরণে আশার আলো দেখছেন এলাকার মানুষ। ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদিত সামগ্রী সহজে স্বল্প সময়ে স্বল্প ব্যয়ে যথাস্থানে সরবরাহ করা সহজ হবে। বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ বিশেষ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত সহজ হবে। সেতুটি নির্মাণ শেষ হলে নদীর দুপারের মানুষকে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ জানান, সাড়ে ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮০ মিটার দীর্ঘ ও ৮.৯ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার সেতুটির নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, এতদঞ্চলের আশার আলো বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়