‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে সন্ধ্যাকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীদের বাউল ও পালা গানে জমজমাট হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার সুরতাল সংগীত একাডেমির একঝাঁক শিল্পী লোকজ উৎসবের মঞ্চে জনপ্রিয় বাউল গান পরিবেশনা করলে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের ঢল নামে। লোকজ উৎসবের এসব নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শনার্থীরা।
সুতারল সংগীত একাডেমির পরিচালক মো. ফয়জুল বারী ইমু বলেন, আমাদের ১৫ জনের শিল্পীদের দল আজ (বুধবার) সন্ধ্যা থেকেই লোকজ উৎসবে আগত দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জন করছি। আমরা প্রতি বছর এই মেলায় দেশের হারানো বাউল গান ফিরিয়ে এনে বাংলা সংস্কৃতির বাউলগান, পালাগান, কবিগান, জারি-সারিগান, হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভাণ্ডারী, মুর্শিদীগান পরিবেশন করে থাকি। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, আবহমান গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের আয়োজন করেছে। এবারের মেলায় কারুশিল্পী প্রদর্শনীসহ ১০০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা, লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, যাত্রাপালা, ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালীগান, জারি-সারিগান, হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভাণ্ডারী, মুর্শিদীগান, গায়ে হলুদের গান, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তি-মারফতি গান, লোক কবিতা পাঠের আসর, পুঁথিপাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠিখেলা, কাঠের কারুশিল্পের প্রদর্শনী, লোকজজীবন প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বায়স্কোপ, নগরদোলা, লোকগল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় প্রতিদিন লোকজ মঞ্চে সাংস্কৃতিক

অনুষ্ঠান, স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বিলুপ্ত সব গ্রামীণ খেলা, কর্মরত কারুশিল্প প্রদর্শনী, মৃৎ-শিল্পের ওপর বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহর থেকে মেলায় ঘুরতে আসা মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, বন্ধুকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছি। মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেছি। বন্ধুকে একটি জামদানি শাড়ি কিনে দিয়েছি। আর কিছু সৌন্দর্যবর্ধক পণ্য কিনেছি। তবে মেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনেক ভালো ছিল। আমরা উপভোগ করেছি।
প্রসঙ্গত, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলার কার্যক্রম চলবে। মেলার জন্য অতিরিক্ত কোনো টিকেট কাটতে হবে না। শুধু প্রবেশ ফি দিয়ে মেলায় ঘুরতে পারবেন। এছাড়া বিকাল ৫টার পর থেকে কোনো প্রবেশ ফি নেই। মাসব্যাপী এই মেলা চলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে মেলার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়