‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

শব্দদূষণ রোধে সচেতনতা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শব্দদূষণের ভয়াবহ ছোবলে নাকাল রাজধানীবাসী। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি ইউএনইপির প্রকাশ করা শব্দদূষণ নিয়ে ২০২২ সালের এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে দেখা যায় শব্দদূষণের তালিকায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শহর আমাদের ঢাকা। প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ লোকের বসবাস এই শহরে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ ভাগ। বিশাল এই জনসংখ্যার যানবাহন সুবিধা দিতে চলাচল করে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। সাধারণভাবে যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত হর্নের শব্দই শব্দদূষণের মূল কারণ রাজধানীতে। তবে এর বাইরে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উচ্চশব্দে মাইক বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার আরেকটি বড় কারণ। এছাড়াও আবাসিক এলাকায় বিয়েসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে উচ্চমাত্রার শব্দযন্ত্র ব্যবহার এবং গানবাজনাও অন্যতম প্রধান কারণ। এর বাইরে শিল্পকারখানা ও মহাসড়কের আশপাশে ভবন নির্মাণের কাজে ইট ভাঙার মেশিন, রড কাটার মেশিন, বহুতল ভবনে জেনারেটর, কল-কারখানার ওয়েলডিং মেশিন, গাড়ি মেরামতের ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন স্থানে অহরহ উচ্চ শব্দে মেশিন চলাচলের ফলে ঢাকা শহরের শব্দদূষণের মাত্রা বর্তমানে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষের জন্য ঘরের ভেতর শব্দের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ৫৫ ডেসিবেল। আর ঘরের বাইরে বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবেল। এছাড়াও বিজ্ঞান বলে শব্দের মাত্রা ৮৫ ডেসিবেল বা তার বেশি হলে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। অথচ ঢাকায় এই মাত্রা বিভিন্ন স্থান ভেদে ১০৪, ১০৭ থেকে শুরু করে ১২০ ডেসিবেল পর্যন্ত হয়ে থাকে। শব্দদূষণের কবল থেকে নিস্তার পাচ্ছে না স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এবং অফিস-আদালতের মতো নীরব এলাকাগুলোও। শব্দদূষণ আমাদের শ্রবণশক্তি নষ্টের পাশাপাশি হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। মাত্রাতিরিক্ত এই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আছে দেশে আইন আছে। বিধিমালা অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিধান আছে। কিন্তু তা আসলে কতটুকু কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। শব্দদূষণের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে নগর কর্তৃপক্ষ এখনি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে নগরবাসীর জীবনযাপন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে। শুধু আইনের দিকে তাকিয়ে না থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশবান্ধব বাসযোগ্য নগরী গড়তে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা দায়িত্বশীল হলে শব্দদূষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

অপু দেব নাথ : শিক্ষার্থী, খিলগাঁও মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজ, ঢাকা।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়