‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

রাজউক কর্মচারীর ৮ তলা ভবন : সত্যতা পেল দুদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পূর্বাচল এস্টেট-২ এর পরিচালকের অফিস সহকারী জাফর সাদেক। স্বল্প বেতনের এই কর্মচারী ৮ তলা ভবনের মালিক। ‘নূর আহমেদ ভিলা’ নামের ভবনটি আফতাবনগরের ডি ব্লকের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর রোডের ২৯ নম্বরে অবস্থিত। এছাড়া শান্তিনগরের মেহমান টাওয়ারে তার ১ হাজার ৬০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে এসব প্রমাণ মিলেছে।
গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, রাজউকের কর্মচারীর বিরুদ্ধে অবৈধ প্লট বিক্রি, নকশা পাস ও অনুমোদন করিয়ে দেয়ার নামে ঘুষ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজীর নেতৃত্বে একটি টিম বিশেষ অভিযানে রাজউক, শান্তিনগর ও আফতাবনগরে যায়। তিনি আরো জানান, অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত পায়। এমনকি তার সহকর্মীরাও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। অভিযোগে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই টিম আফতাবনগর ও শান্তিনগরে গিয়ে জাফর সাদেকের অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক সত্যতা পায়। এছাড়া আশপাশের স্থানীয় লোকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন টিমের সদস্যরা।
জানা যায়, ২০০৬ সালে জাফর সাদেক রাজউকের অফিস সহকারী পদে চাকরি পান। এক মন্ত্রীর সুপারিশে এই চাকরি হয় বলে অভিযোগ আছে। বর্তমানে তিনি পূর্বাচল এস্টেট-২ এর পরিচালকের অফিস সহকারীর দায়িত্বে রয়েছেন। রাজউক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি তিনি। এসব প্রভাব কাজে লাগিয়ে রাজউকের প্লট বিক্রি, নকশা পাস করিয়ে দেয়ার অবৈধ বাণিজ্যে জড়িত হন। আর এসব কাজ করেই তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ থেকেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই সময়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমে বলেন, রাজউকের অনেক ফাইল গায়েব হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছিল। জিডিও আছে। মামলা ও জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ডেকেছিলাম। পরবর্তী পর্যায়ে এ বিষয়ে আরো কথা বলব। তাকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়