‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

নির্দেশের তোয়াক্কা করে না কেউ : নান্দাইলে সরকারি খাল ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের নান্দাইলে অবৈধভাবে সরকারি খাল ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমান সরকার খাল ও রাস্তা এবং জলাশয় রক্ষার জন্য কঠোর নির্দেশনা থাকলেও সেটির তোয়াক্কা না করে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে সরকারি খাল ভরাট করে স্থায়ীভাবে পাকা দোকানঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্বার্থানেষী ব্যক্তিরা।
জানা গেছে, নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের সুরাশ্রম মৌজার বেলতলী বাজার নামক স্থানে পানি নিষ্কাশনের সরকারি খালে মাটি ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করছে স্থানীয় নজরুল ইসলাম ভূইয়া ও ফজলুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি। তবে ফজলুর রহমান সবেমাত্র মাটি ভরাট করেছেন। কিন্তুু নজরুল ইসলাম সরকারি জায়গা দখল করে সেখানে পাকা দোকানঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে দোকান ঘরের তিন ৩ ফুট ওয়াল তৈরি করেছেন। ব্যক্তিদ্বয় এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায় না। সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সুরাশ্রম মৌজার জেএল নং ১৩০,বিআরএস খতিয়ান নং ১/১, সাবেক দাগ নং ১৩৩৬ ও হালদাগ ১৮৯০ সরকারি জায়গায় ইচ্ছামাফিক দখল করে দোকানঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে উক্ত এলাকায় বসবাসরত প্রায় ২ হাজার ৫০০ শত বাসিন্দার পানি নিষ্কাশনসহ রাস্তা দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলে এলাকাবাসী অভিযোগে উল্লেখ করেন। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের অভাবে ফসলি জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ষাকালে ২/৩টি বাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, অবৈধভাবে সরকারি খাল বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। যাতে করে কেউ এভাবে সরকারি জায়গা দখল করার সাহস না পায়।
এলাকাবাসী জানায়, সরকারি খাল ভরাট করাকে কেন্দ্র করে যে কোনো সময় এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে। সরকারি জায়গায় দোকানঘর নির্মাণের বিষয়ে নজরুল ইসলাম ভূইয়াকে জিজ্ঞাসা করলে- তিনি মাটি ভরাটসহ দোকানঘর তোলার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি প্রশাসনের কাউকে অবহিত করিনি। আর আমার বাড়ির সামনে আমি ঘর করেছি, এতে দোষের কি? সরকার চাইলে দিয়া দিব। তবে খাল ভরাটের বিষয়ে তিনি বলেন, একসময় খাল ছিল।
এখন নেই। অপরদিকে ফজলুর রহমান বলেন, সবাই বলতেছে জায়গাটি খালি না রেখে, সেখানে মাটি ভরাট করে দোকানঘর তুলে দেন। তাই মাটি ভরাট করেছি। তবে ফজলুর রহমানকেও প্রশাসনের কোনো অনুমতি নিতে হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনা সত্য। আমার জানামতে এটা সরকারি জায়গা। গাংগাইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তুষার কান্তি মজুমদার বলেন, আমাদের স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে, স্যার বললেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এটিএম আরিফুল ইসলামের সঙ্গে সেলফোনে কথা হলে তিনি তার অফিসে যাওয়ার কথা বলে ফোন কল কেটে দেন।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়