কাগজ প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, কারাগারে থাকা মানুষেরও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার আছে। তাদের সেবা দেয়া দরকার। আমরা তো কাউকে ডাকতে চায় না। এটা শোভনীয়ও নয়। আমরা সময় দিয়ে থাকি। সময় দেয়ার পরেও যখন আদালতের আদেশ মানা হয় না, তখন আমরা বাধ্য হয়ে তলব করি।
দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করার ব্যাখ্যা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে গতকাল মঙ্গলবার সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী হাজির হওয়ার পর শুনানিতে এসব কথা বলেন হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজের অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়টি উল্লেখ করে উচ্চ আদালত বলেন, একটি জিনিসের দাম বাজারের চেয়ে ৪০০ গুণ বেশি কোনোভাবেই হতে পারে না। সরকার তো কোনো খাতেই টাকা কম দেয় না। বিদেশিরা তো দেশ চালান না। নিজেরাই দেশ চালাচ্ছি। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। দুর্নীতি যদি সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব না হয়, তাহলে দেশ টিকবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির উদ্দেশে আদালত বলেন, এ দেশের মানুষ কিন্তু গরিব। বিপদে পড়লেই ডাক্তারের কাছে যান। এটা একটা মহান পেশা। ডাক্তাররাও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেবা দেন। তাদের ব্যক্তিজীবন আছে বলে মনে হয় না। তারপরও মানুষ সেবা পান না। গরিব দেশ হিসেবে যথেষ্ট অর্থ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয় সরকার।
চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, একটু কনসিডার করেন। স্বাস্থ্যখাতের বিষয়টি করোনা ভাইরাসের কারণে হয়েছে। সব জায়গায় এখন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি আদালতকে বলেন, অনিইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়েছে। এরকম ভুল আর হবে না। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। পরে আদালত এ মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২ মে দিন ধার্য করেন।