প্রধান শিক্ষককে পিটুনি : আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

আগের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা : আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে

পরের সংবাদ

হোমনায় বর্জ্য অপসারণের ড্রেন নির্মাণ বন্ধ দুই বছর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. কামাল হোসেন, হোমনা (কুমিল্লা) থেকে : হোমনা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফসলি জমির মাঝখানে এসে পৌরসভার বর্জ্য অপসারণের ড্রেন নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে দুই বছর ধরে। আর পৌরসভার নির্মাণাধীন এ ড্রেনে কতিপয় অসাধু বাড়িওয়ালা বসতবাড়ির টয়লেট ও গৃহস্থালির বর্জ্য অপসারণ করছেন। এতে পানি ড্রেনের মাধ্যমে ফসলের ক্ষেতে এসে নামছে বর্জ্য। আর ফসলের ক্ষেত থেকে এসব ময়লা নামছে তিতাস নদীতে। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, অন্যদিকে জমিতে ফসল উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
ক্ষেতে ড্রেনের বর্জ্য নামার কারণে দুই বছর ধরে ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন জমি মালিক মো. সফিকুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, আমার ৫ বিঘা জমির ওপর দিয়ে পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের ড্রেন যায়। তিতাস নদীতে গিয়ে পানি নামার কথা ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে জমির মাঝখানে এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় দুই বছর ধরে ড্রেনের ময়লাযুক্ত পানি এসে আমার ক্ষেতে নামছে। এতে আমরা ৫ বিঘা জমিতেই কোনো ফসল ফলাতে পারছি না। হালিমা আক্তার নামের এক গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, আমরা তিতাস নদীতে এতে গোসল করি এরপর এই নদী থেকে পানি নিয়ে আমরা রান্নাবান্নার কাজ করি। কিন্তু ড্রেনের বর্জ্যে ক্ষেত থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তিতাস নদীর মহিলাদের গোসলের ঘাটে গিয়ে নামছে। ড্রেনের দুর্ঘন্ধযুক্ত ময়লা-আবর্জনার পানি গোসলের ঘাটে হয়ে নদীতে নামে আসা লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তিনিসহ ভুক্তভোগী লোকজন ড্রেনে টয়লেট ও গৃহস্থালির বর্জ্য অপাসরণ বন্ধে পৌর কর্তৃপক্ষকে জোরাল পদক্ষেপ নেয়াসহ দ্রুত ড্রেন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানান।
পৌরসভার উপশহকারী প্রকৌশলী মো. জহির উদ্দিন জানান, গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের জলিল চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তিতাস নদী পর্যন্ত এক কোটি ২৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ৭০২ মিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই বর্ষা চলে আসায় এর মধ্যে ১৯০ ফুট ড্রেন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
হোমনা পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পৌরবাসীর সুবিধার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন এ ড্রেনটি তিতাস নদী পর্যন্ত যাবে। পরে নদীর পাড় থেকে পাইপের মাধ্যমে ড্রেনের পানির লাইন নদীর মাঝখানে দেয়া হবে। দুই বছর আগে আমরা যখন ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করি তখন বর্ষা চলে আসায় এখানে এসে কাজ বন্ধ করতে হয়েছে। এখন ড্রেনের বাকি কাজ করার জন্য টেন্ডার দিয়েছি। খুব শিগগিরই প্রক্রিয়া শেষে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়