প্রধান শিক্ষককে পিটুনি : আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

আগের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা : আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে

পরের সংবাদ

স্বেচ্ছাচারিতায় স্থবির দৌলতপুর শিল্পকলা একাডেমি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস আর সেলিম, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) থেকে : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি এখন কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতায় অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। এখানকার নির্বাহী কমিটি থেকে শুরু করে প্রশিক্ষক আর শিক্ষার্থী-শিল্পী মিলে সদস্য সংখ্যা ঘুরেফিরে কার্যত জনাদশেকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অভিযোগ রয়েছে, অনেকগুলো বছর ধরে কয়েক ব্যক্তির মনগড়া পরিচালনায় দৌলতপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি এখন সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হাতেগোনা দুয়েক ব্যক্তির নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এতে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আওতায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বেশ কিছু জেলা ও উপজেলা। এসব জেলা, উপজেলায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী স্বাক্ষরিত গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা রয়েছে। কিন্তু এর কোনোটিই মানেননি দৌলতপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিরা।
স¤প্রতি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সরকার আমিরুল ইসলাম তার ব্যবহৃত ফেসবুক পেজে শিল্পকলার জন্য নতুন সদস্য আহ্বান করেন। সেখানে আভাস দেয়া হয়, পুরনো স্থবিরতা কাটিয়ে নতুন করে কমিটি করার মধ্য দিয়ে একাডেমির কার্যক্রম গতিশীল করা হবে। সেই মোতাবেক এককালীন চাঁদা পরিশোধের মধ্য দিয়ে নতুন সদস্য হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এর কয়েকদিন পরেই নতুন পুরনো সদস্যদের বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকের আলোচনায় হঠাৎই নতুন কমিটির প্রসঙ্গ তুলে আনা হয়। গঠনতন্ত্র বা নিয়মনীতির ন্যূনতম তোয়াক্কা না করে একটি প্রস্তাবিত কমিটি করা হয়। বলা হয়, এই আংশিক কমিটির সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মনোনীত নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। কিন্তু ওই বৈঠকে কমিটি উত্থাপনসংক্রান্ত প্রস্তাব গঠনতন্ত্রবিরোধী হওয়ায় তা না করতে বক্তব্য দেন উপস্থিত সদস্যরা। তবে, গঠনতন্ত্র যা ভাঙা হচ্ছে নিজেই ভাঙছেন জানিয়ে বিষয়টি মেনে নিতে আহ্বান জানান সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার।
কুষ্টিয়া জেলা কালচারাল অফিসার সুজন রহমান জানান, দৌলতপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির কমিটিসংক্রান্ত কোনো কিছু তাদের জানানো হয়নি। কেবল কেন্দ্র অনুমোদন দিলেই জেলা-উপজেলায় কমিটি হওয়া সম্ভব।
নতুন প্রজন্মের পেশাদার এক সংগীতশিল্পী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, শিল্পকলা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি না। তবে প্রকৃত শিল্পীদের সঙ্গে দৌলতপুর শিল্পকলা একাডেমির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই একাডেমি নিজের মনের মতো করে চালান সাধারণ সম্পাদক সরকার আমিরুল ইসলাম। আমি একজন সদস্য হয়েও জানি না কবে কীসের কমিটি হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী সরকার আমিরুল ইসলাম বলেন, নতুন কমিটি প্রক্রিয়াধীন, আমরা নিজেরা যেটা করেছি সেটাই চূড়ান্ত কমিটি। জেলা থেকে আমাদের জানিয়েছে, কেন্দ্র থেকে অনুমোদন না দিলেও এভাবে চালিয়ে যেতে বাধা নেই। তাই আমরা জেলার মতামতের ভিত্তিতে সকল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি।
দৌলতপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল জব্বার জানান, এখান থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে কমিটি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো রেসপন্স আসেনি। তাহলে কীভাবে নির্বাহী কমিটি প্রকাশ হলো, জানতে চাইলে এর সদুত্তর দিতে পারেননি ইউএনও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়