প্রধান শিক্ষককে পিটুনি : আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

আগের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা : আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে

পরের সংবাদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন : রাশিয়া নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজ পাঠাবে এটা আশা করিনি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকা রাশিয়ান জাহাজ উরসা মেজরে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠানোর বিষয়টি বাংলাদেশ আশা করেনি। রাশিয়ার এমন আচরণ তাজ্জব লেগেছে। রাশিয়া জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞা আছে এমন জাহাজের নাম পরিবর্তন করে মালামাল পাঠিয়েছে। আমরা আশা করি, রাশিয়া এখন নিষেধাজ্ঞা নেই- এমন একটি জাহাজে পণ্যগুলো বাংলাদেশে পাঠাবে। গতকাল রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, রাশিয়ার তো হাজার হাজার জাহাজ আছে। আমরা রাশিয়াকে বলেছি, ৬৯টা জাহাজ যেগুলো নিষেধাজ্ঞায় আছে সেগুলো ছাড়া অন্য যে কোনো জাহাজে তারা মালামাল পাঠাতে পারে। সর্বোপরি নিষেধাজ্ঞা আছে এমন জাহাজ আমরা গ্রহণ করতে চাই না। আমার কাছে খুব তাজ্জব লেগেছে যে, রাশিয়া জেনেশুনে একটা নিষেধাজ্ঞার জাহাজ পাঠিয়েছে। আমরা আশা করি, রাশিয়া এখন নিষেধাজ্ঞা নেই তাদের এমন জাহাজে মালামাল পাঠাবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠানোর বিষয়ে রাশিয়া কোনো বার্তা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে ওপরের লেভেলে কাজ করছি। তবে আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটা ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, রাশিয়ার জাহাজ ফেরত যাওয়াতে একটু দেরি তো হবেই।
এটুকু বলতে পারি, সেই জাহাজটিকে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হয়নি। ভারতে মালামাল খালাসের কথা বলা হচ্ছে। এরকম বার্তা আমাদের কাছে ছিল না। এটা একটা কর্মাশিয়াল ট্রানজেকশন। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হলো আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং আশা করি সেটা হবে। এটা বাস্তবায়নের দায়িত্বে যারা আছেন, তারা বিষয়টা দেখবেন।
নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজ বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়ে মস্কোকে ঢাকার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমার সম্পূর্ণ জানা নেই। তবে এটা আমি প্রত্যাশা করি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই সেটা জানিয়েছে। তারা বিষয়টা ডিল করছে।
উল্লেখ্য, ‘উরসা মেজর’ নামের নিষেধাজ্ঞার জাহাজে রাশিয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের মালামাল পাঠায়। গত ২৪ ডিসেম্বর জাহাজটি মোংলা বন্দরে আসার কথা ছিল। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগাম সতর্ক করার কারণে বাংলাদেশ জাহাজটি দেশের সমুদ্র সীমানায় ঢুকতে দেয়নি। বর্তমানে জাহাজটি চীনের একটি বন্দরের উদ্দেশে অগ্রসর হচ্ছে। যদিও জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর রাশিয়া চাপ সৃষ্টি করে। তবে বাংলাদেশ জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে না দেয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থান নেয়। এ অবস্থায় জাহাজটি ভারতের পশ্চিবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে মালামাল খালাস করে সড়ক পথে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারত সরকারও অনুমতি না দেয়ায় জাহাজটি প্রায় দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করে চলে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়