প্রধান শিক্ষককে পিটুনি : আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

আগের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা : আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে

পরের সংবাদ

ডাণ্ডাবেড়ি-হাতকড়ার অপব্যবহার বন্ধে আইনি নোটিস

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়ার অপব্যবহার বন্ধ এবং এ সম্পর্কে নীতিমালা করার জন্য সরকারকে আইনি নোটিস দিয়েছেন ১০ জন আইনজীবী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, আইজিপি এবং কারা মহাপরিদর্শককে এ নোটিস পাঠানো হয়েছে।
নোটিসে বলা হয়, হাতকড়া ও ডাণ্ডাবেড়ি ব্যবহার বিষয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আছে। সিটিজেন ফর ডেমোক্র্যাসি বনাম স্টেট অব আসাম মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পুলিশ বা কারা কর্তৃপক্ষ কোনো আসামিকে হাতকড়া বা ডাণ্ডাবেড়ি পরাতে পারবে না। কোনো মারত্মক এবং পলায়নের আশঙ্কা আছে এমন আসামিকে এগুলো পরানো অত্যন্ত প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ অনুমতি ছাড়া কোনো আসামিকে হাতকড়া বা ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না। ওয়ারেন্ট ব্যতীত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলে এবং হাতকড়া পরানো আবশ্যক মনে হলে পুলিশ তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে আসা পর্যন্ত হাতকড়া পরাতে পারবে। পরবর্তী সময়ের জন্য অবশ্যই ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে এমন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা বা নীতিমালা না থাকায় ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়ার অপব্যবহার হচ্ছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা বিচারব্যবস্থার ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। নোটিস প্রেরণকারী আইনজীবীরা হলেন- মীর এ কে এম নুরুন্নবী, জোবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, আল রেজা মো. আমির, মো. রেজাউল ইসলাম, কে এম মামুনুর রশিদ, মো. আশরাফুল ইসলাম এবং শাহীনুর রহমান। তাদের পক্ষে গতকাল রবিবার এই নোটিস পাঠান এডভোকেট আসাদ উদ্দিন। আইনজীবী আসাদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, একটি জাতীয় দৈনিকে গত ২০ ডিসেম্বর ছবিসহ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যেখানে দেখা যায়, গাজীপুরে একজন আসামি ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাযা পড়াচ্ছেন। এর পরপরই গত ১৭ জানুয়ারি ছবিসহ আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানেও দেখা যায়, শরীয়তপুরে আরেকজন আসামি একইভাবে ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাযায় অংশ নিচ্ছেন। এ সময়ের মধ্যেই একজন আইনজীবীসহ কয়েকজনকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে ঢাকা কোর্টে আনা হয়। এসব ঘটনা পত্রপত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কাছাকাছি সময়ে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, তানভীর হাসান তানু, প্রবীর শিকদার, শিল্পী জে কে মজলিস এবং কয়েকজন শিশুসহ অনেক আসামিকে হাতকড়া পরানোর ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে হাতকড়া ও ডাণ্ডাবেড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসপ্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়ার অপব্যবহার বন্ধ এবং এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে, অন্যথায় নোটিসদাতারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়