প্রধান শিক্ষককে পিটুনি : আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

আগের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা : আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে

পরের সংবাদ

এবার সুইডেন যাচ্ছে বাঘায় উৎপাদিত ফল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) থেকে : ইতালির পর এবার সুইডেন যাচ্ছে বাঘায় উৎপাদিত রপ্তানি উপযোগী বিভিন্ন ফল। কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে উৎপাদিত এসব ফলের মধ্যে প্রথম চালান পেঁপে-পেয়ারা ও বরই সুইডেনে পাঠানোর জন্য গতকাল রবিবার ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মোড়কজাত করে সুইডেনে পাঠানো হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রথম চালান ইতালিতে পাঠানো হয়েছে। গত মৌসুমে এখানকার ৩০ টন আম ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হয়েছিল। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সফিউলাহ সুলতান জানান, গতকাল রবিবার বিকালে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের সাদি এন্টারপ্রাইজের কার্যালয় থেকে ১০০ কেজি পেঁপে, ১০০ কেজি পেয়ারা এবং ৫০ কেজি বরই (বলসুন্দরি) সুইডেনে রপ্তানির জন্য ঢাকার কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় শ্যামপুর সেন্ট্রাল প্যাকিং হাউজে পাঠানো হয়। সেখানে পেঁপে-পেয়ারা ও বরই মোড়কজাতের পর ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে আজ সোমবার সুইডেনে পাঠানো হবে। পেঁপেগুলো সবজি হিসেবে খাওয়ার জন্য রপ্তানি করা হচ্ছে। পাকাও খাওয়া যাবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার আরেক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এক টন পেয়ারা ও ১০০ কেজি থাই বরই ইতালিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। উপজেলা থেকে আমের পাশাপাশি অন্য ফল এবং সবজি বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তা। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারি রেজাউল করিম কল্লোল জানান, আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যাত্রীবাহী বিমানে পেঁপে-পেয়ারা ও বরই সুইডেনে পাঠানো হবে। সাদি এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম জানান, এবার ৫০ বিঘা জমিতে পেয়ারা ও ৫০ বিঘা জমিতে বরই ও ২ বিঘা জমিতে গ্রিন পেঁপে চাষ করেছেন তিনি। এর মধ্যে উপজেলার চরাঞ্চলের পলাশীর প্রামে ৩০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে পেয়ারা ও পেঁপে চাষ করেছেন। প্রতিটি গাছ থেকে ৫০ কেজি পেঁপে সংগ্রহ করা যাবে। জমি লিজসহ বিঘা প্রতি খরচ পড়ে ৪০ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি পেয়ারা চাষে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে বরইয়ের চেয়ে পেয়ারার বাজার ভালো। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ টাকা আর জাতভেদে প্রতি কেজি বরই ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। জানা যায়, একসময় চরের জমিতে তেমন কোনো ফসল আবাদ হতো না। এখন আম, বরই, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হচ্ছে পদ্মার চরে। ফলনও হচ্ছে ভালো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে বরই এবং ৩০৪ হেক্টর জমিতে পেয়ারা ও ৭৪ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ বরই-পেয়ারা চাষ হয়েছে পদ্মার চরে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়