মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা ডা. নাতাশার মৃত্যু

আগের সংবাদ

৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বিশ্বব্যাংক এমডি : বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সর্ম্পক নতুন মাইলফলকে

পরের সংবাদ

রামগতিতে আ.লীগ নেতার স্বেচ্ছাচারিতা : হঠাৎ কালভার্ট বন্ধে বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কমলনগর (ল²ীপুর) প্রতিনিধি : ল²ীপুরের রামগতি উপজেলার চররমিজের আট নম্বর ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়ে একটি কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ। এতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন তারা।
গতকাল শনিবার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চররমিজ ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের বিবিরহাট রশিদীয়া সড়কের মোনাফ মেম্বারের বাড়ির সামনে দীর্ঘদিন ধরে ধান, বাদাম, সয়াবিন ও মরিচসহ নানা ফসল চাষাবাদ করে আসছেন স্থানীয় কয়েকশ কৃষক।
কৃষকদের কথা চিন্তা করে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য সেখানে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। প্রায় এক যুগ ধরে ওই কালভার্ট দিয়ে পানি প্রবাহ চলে আসছে। হঠাৎ কয়েকদিন আগে চররমিজ ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ গায়ের জোরে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেন। নিরুপায় হয়ে তারা রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় আবদুল মৌমিন, মজনু ও আবদুল করিম বলেন, সরকার কৃষকদের নানাভাবে কৃষি উৎপাদনে উৎসাহিত করে। সার, বীজ ও নগদ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের হাতে তুলে দেয়। চাষাবাদ ও পানি নিষ্কাশনের জন্য মরা খালগুলো পুনঃখনন করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন।
অথচ এখানে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন এ এলাকার কৃষকরা।
মৌসুমের শুরুতে যখন চাষাবাদের জন্য পানির প্রয়োজন হবে, তখন প্রতিবন্ধকতার জন্য পানি স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়বে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কালভার্টটি আমার জায়গায় করা হয়েছে। এতে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই আমি কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছি।’
স্থানীয় চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার বলেন, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তনু চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তা রিসিভ করেননি তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়